এবার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) থাকছে না।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এই দুই পরীক্ষার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভা শেষে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন এ কথা জানিয়েছেন।
সোহরাব হোসাইন বলেছেন, জেএসসি ও জেডিসিতে এমসিকিউ আর থাকছে না। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনে আমরা এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভবিষ্যতে অন্যান্য পরীক্ষায়ও বড় ধরনের পররিবর্তন আনা হবে।
এবার জেএসসি ও জেডিসিতে এমসিকিউ প্রশ্ন তুলে দিয়ে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন দে্ওয়া হবে। প্রায় ৩১ লাখ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেবে বলে জানান সচিব।
ওই সভায় সোহরাব হোসাইন বলেন, চলমান পদ্ধতিতে পাবলিক পরীক্ষা হলে প্রশ্নফাঁস রোধ করা সম্ভব হবে না। এ কারণে আমরা পাবলিক পরীক্ষাগুলোয় বড় ধরনের পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তার আলোকে চলতি বছর শুরু হতে যাওয়া জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় পরিবর্তন আনা হবে।
তিনি বলেন, বিষয়টি চূড়ান্ত করতে সভা করা হবে। সেখানে অনেকের মতামত নিয়ে কী কী পরিবর্তন আনা যায়, সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চলতি বছরের নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে এই দুই পরীক্ষা হতে পারে।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এ বছর থেকেই প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায়ও এমসিকিউ থাকছে না বলে জানিয়েছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, পুলিশ, র্যাব, এনএসআই, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মককর্তা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী বলেছিলেন, ‘এমসিকিউ প্রশ্ন পর্যায়ক্রমে তুলে দেওয়া হবে। তাহলে প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ থাকবে না।’