পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশে প্রায় ৪ কোটি মানুষ এখনো পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে পারে না, পর্যাাপ্ত খাবার কিনতে দৈনিক প্রয়োজনীয় আয় করতে পারেন না প্রায় ২ কোটি ৮০ মানুষ। ৩৬ লাখ শিশু এখনো অপুষ্ঠিতে ভোগে। এই বিশাল জনগোষ্ঠিকে অপুষ্ট ও অর্ধভুক্ত রেখে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই জনগণের খাদ্য নিরাপত্তাকে কেবলমাত্র কর্মসূচি হিসেবে না দেখে অধিকারভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে দেখতে হবে। এজন্য খাদ্য অধিকারের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং সে মোতাবেক খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করতে হবে। গতকাল রোববার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে খাদ্য অধিকার কংগ্রেসে বক্তারা এই অভিমত প্রকাশ করেন।
খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি) আয়োজিত এই কংগ্রেসে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য আবদুল ওয়াদুদ দারা। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিরেণ সাবেক তত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, খাদ্য অধিকার সম্পর্কিত সংসদীয় ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য সংসদ সদস্য সেলিনা জাহান লিটা, ইউনিভার্সিটি অব গেøাবাল ভিলিজের ভিসি ড. জাহাঙ্গীর আলম খাঁন ও অর্থনীতিবিদ ড. এমএম আকাশ, ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট-হারভেস্টপ্লাসের কনসালটেন্ট ড. এম এ মজিদ প্রমুখ। কংগ্রেসে সভাপতিত্ব করেন ইরি বাংলাদেশের সাবেক কান্ট্রি ডিরেক্টর ও খানির সভাপতি ড. আবদুর রাজ্জাক এমপি।
সভায় বক্তারা বলেন, মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার পূর্বশর্তই হচ্ছে তাঁর খাদ্যের অধিকার পূরণ করা। এজন্য দেশে আইনী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যেখানে সকল মানুষের খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নীতি, বাস্তবায়ন কৌশল এবং সমন্বিত কৃষি, খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির দিক নির্দেশনা থাকবে। সরকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি পরিচালনা করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনায় তা বিলি-বন্টন হয়ে যায়, ফলে এসব কর্মসূচির সুবিধা প্রকৃত দরিদ্র জনগোষ্ঠি পাচ্ছে না। তাই, আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সকল মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সরকারি হিসাব মতে দেশে এখনো প্রায় ৪ কোটি মানুষ দরিদ্র এবং ২ কোটি মানুষ অতিদরিদ্র অবস্থার মধ্যে বসবাস করে। খাদ্য অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নগর দরিদ্রদের বিশেষভাবে বিবেচনা করতে হবে। খাদ্য অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র উৎপাদকশ্রেনীকে সুরক্ষা, ফসলের ন্যায্যমূল্য এবং কৃষিউপকরণ প্রণোদনা নিশ্চিত করতে হবে।
আবদুল ওয়াদুদ দারা বলেন, আমরা ২০০টির মত সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে সকল মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। আমরা স্থায়ী কমিটিতে খাদ্য অধিকার আইন নিয়ে কথা বলবো এবং আশা করি এই আইন পাশ হবে।
বক্তারা জানান, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খাদ্য অধিকার বিষয়ক আইন থাকলেও বাংলাদেশে এখনো তেমন কোন আইন নেই। ইতোমধ্যে আইন কমিশন থেকে খাদ্য নিরাপত্তা আইন ২০১৮ প্রণয়ন করেছে। প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ এশীয় খাদ্য অধিকার সম্মেলনে খাদ্য নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাই, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রæতি মোতাবেক দেশে খাদ্য নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন, খাদ্যের অধিকারকে নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি, খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন, জনগণের কাজের অধিকার ও ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা, কৃষিতে কর্মরত নারীদের কৃষক হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া এবং কৃষি উপকরণ ও জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, মৌজা মানচিত্র ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও শ্রমজীবী নারী কৃষকের জন্য খাসজমির ন্যায্য বন্টন ও ভূমি সংস্কার নিশ্চিত করার দাবি তুলে ধরেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।