গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে টহল পুলিশের সামনেই রাতের অন্ধকারে দু’টি পোশাক কারখানা ও দু’টি কম্পিউটার যন্ত্রাংশের গোডাউনে লুটের’ঘটনা ঘটেছে। কারখানার দরজা ভেঙে লুটতরাজ করে সব নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত খিলগাঁওয়ের বাগানবাড়ি এলাকার পাঁচটি বাড়িতে একযোগে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। হ্যামার দিয়ে ইটের দেয়াল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে সব নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা।
জানা যায়, ওই পাঁচটি টিনসেড বাড়িতে চারটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, টিএনএস ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, এসএম এন্টারপ্রাইজ, টার্বোটেক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টার্বোটেক সার্ভিস লিমিডেট। টিএনএস ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটির মালিক প্রকৌশলী রেজাউল করিম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি কম্পিউটার যন্ত্রাংশের ব্যবসা করি। এখানে আমার দশ লাখ টাকার বেশি মালামাল ছিল। গোডাউন ভেঙে সব নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রাতে যখন ভাঙচুর চালানো হচ্ছিল, তখন এলাকার টহল পুলিশের সহায়তা চেয়েছিল আমাদের টার্বোটেক সার্ভিস প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোহেল রানা। তখন টহল পুলিশ তাকে বলেছে, তাদের কিছু করার নেই, থানায় যোগাযোগ করুন। আমি ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে সহযোগিতা চাই। এরপর পরিচিত একজন পুলিশকেও ফোন দেই। তিনি ঢাকার বাইরে। কারও কাছ থেকে তাৎক্ষণিক সহযোগিতা না পেয়ে নিজেই দ্রæত ঘটনাস্থলের দিকে বাসা থেকে রওয়ানা হই। দক্ষিণ রামপুরা হয়ে যখন কারখানার দিকে যাচ্ছি, তখন একটা পিকআপ ভ্যানে পুলিশ বসা দেখলাম। তারা ঘুমাচ্ছে। তাদের বললাম সব। তারা বলল, গাড়ির গায়ে লেখা নম্বরে ফোন দেন, থানায় জানাতে হবে। থানা থেকে বললে আমরা যাবো। খিলগাঁও থানার ওসি মশিউর রহমান গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, রাস্তায় জমি ছাড়েনি বলে ভাঙচুর হয়েছে। কিছু লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। কেউ এখনও থানায় মামলা দায়ের করেনি। মামলা দায়ের করা হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।