নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘোষণাটা দিতেই হবে, জানাই ছিল। তারপরও আবেগ সামলাতে পারলেন না তিনি। ২২ বছরের সম্পর্কচ্ছেদ বলে কথা! বিদায় বলার সময় পারেননি অশ্রু সংবরণ করতে। চোখের পানিতেই বার্সেলোনাকে বিদায় জানিয়েছেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। ক্যাম্প ন্যু’র সাথে ২২ বছরের সম্পর্কের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েই দিলেন স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার।
ক্লাব ক্যারিয়ারের শুরুটাই তো এখান থেকে। ১৬ মৌসুমে কাতালানদের হয়ে ৬৬৯ ম্যাচে মাঠে নামার সাক্ষীও তিনি। বার্সার হয়ে ৩১টি ও বিশ্বকাপসহ জাতীয় দলের জার্সিতে জিতেছেন ৩টি শিরোপা। ক্যাম্প ন্যু’কে তো নিজের ঘরই বানিয়ে ফেলেছিলেন স্প্যানিশ তারকা। কিন্তু ঘর ছাড়বেন কিভাবে! কষ্ট যে একেবারেই কম হবে না সেটা তার চোখের পানিই বলে দিয়েছে। বাকিটা শুধু মুখেই বলেছেন, ‘আমার জন্য দিনটা খুবই কঠিন। বার্সা আমাকে অনেক কিছুই দিয়েছে। এই ক্লাবের কাছে আমি ঋণী।’
২০০২ থেকে বার্সার মূল দলে খেলা এই স্প্যানিশ তারকা মিডফিল্ডার এবার চীনের একটি ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে ইনিয়েস্তা জানিয়েছেন, ‘আর যাই হোক, আমি ইউরোপে খেলছি না। আমি বার্সেলোনার মুখোমুখি কখনোই হতে চাই না।’ লা লিগা পর্ব দিয়েই ক্লাবের হয়ে ইতি টানার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এবার দিয়েই দিলেন বার্সা লিজেন্ড।
গত শনিবার কোপা দেল রের ফাইনালে সেভিয়াকে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়ে নিজেদের ৩০তম শিরোপা জিতল কাতালানরা। সেই ম্যাচেও নিজে একটি গোল করেছিলেন ইনিয়েস্তা।
স্প্যানিশ এই তারকার বিদায়ের আগে পাঁচটি ম্যাচ খেলবে বার্সা। আগামীকাল দিপোর্তিভোর বিপক্ষে হার এড়াতে পারলেই লা লিগায় এবারের শিরোপা নিজেদের করে নেবে বার্সা। সেই সঙ্গে আরেকটি শিরোপা যোগ হবে স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডারের ঝুলিতে।
স্পেনের হয়ে ১২৫ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন এই তারকা। জাতীয় দলের হয়ে জিতেছেন ২০১০ সালের বিশ্বকাপ শিরোপা, ফাইনালে গোলও করেছেন। উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ২০০৮ ও ২০১২ সালের শিরোপা জয়েও কৃতিত্ব রেখেছেন। ৩৩ বছর বয়সী মাঝ মাঠের এই খেলোয়াড়কে দেখা যেতে পারে রাশিয়া বিশ্বকাপেও।
ইনিয়েস্তার বিদায়ে সবার মুখেই শোনা যাচ্ছে স্তুতি বাক্য। সেই সঙ্গে প্রশ্নও উঠেছে, ক্ষণজন্মা এই স্প্যানিশ ফুটবলারকে যথার্থ সম্মান ফুটবল বিশ্ব দিয়েছে কি না। বিতর্ক উঠেছে ব্যালন ডি’অর নিয়েও। সময়ের সেরা মিডফিল্ডার ব্যালন ডি’অর পাননি, এটা অনেকের কাছেই বিস্ময়কর। চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক ও জাতীয় দলের সতীর্থ সার্জিও রামোসও প্রশ্ন তুলেছেন ইনিয়েস্তার ব্যালন ডি’অর না পাওয়া নিয়ে।
বিতর্ক উসকে দিয়েছে ফ্রান্স ফুটবল পত্রিকাই। ব্যালন ডি’অর পুরস্কারটি দেওয়া হয় এ পত্রিকার পক্ষ থেকে। তারাই কদিন আগে ঘটা করে ক্ষমা চেয়েছে ইনিয়েস্তার কাছে। এই মিডফিল্ডারের চীনে আওয়ার গুঞ্জন শুনেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। কারণ সে ক্ষেত্রে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সেরার পুরস্কারে আর কখনোই বিবেচ্য হবেন না ইনিয়েস্তা। এভাবে ক্ষমা প্রার্থনা যেন বিতর্কটা উসকে দিয়েছে আরও।
রামোসের ভাষায়, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার নাম যদি আন্দ্রেস না হয়ে আন্দ্রেসিনহো হতো, তবে তার ভাগে দুটি ব্যালন ডি’অর থাকত। ব্রাজিলিয়ান কিংবা দক্ষিণ আমেরিকার খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে তারকা খ্যাতি বেশি জোটে। আর বিশ্বসেরার পুরস্কারের ক্ষেত্রে সেই তারকা খ্যাতির মতোই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় এই ওই অঞ্চলের খেলোয়াড়দের। এর আগে ২০১৫ সালে পেপ গার্দিওলাও প্রায় এমন কথা বলেছিলেন। স্প্যানিশ তারকা পেদ্রোর চেলসিতে মাত্র ২৭ মিলিয়ন ইউরোতে যোগ দিয়েছিলেন। গার্দিওলা এত কম অঙ্ক দেখে বলেছিলেন, ‘পেদ্রো যদি ব্রাজিলিয়ান হতো তবে ওকে পেদ্রোইনহো ডাকা হতো। তখন আর ওকে কেনার মতো টাকা থাকত না কারও!’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।