Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কষ্টের জয়েই শুরু রাসেলের

প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : কেএফসি স্বাধীনতা কাপে প্রথমে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত জয় দিয়েই নতুন ফুটবল মৌসুম শুরু করল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে ২-১ গোলের কষ্টার্জিত জয় তুলে নেয়। প্রথমার্ধের খেলা ১-১ গোলে অমীমাংসিত ছিল। বিজয়ীদের পক্ষে ইথিওপিয়ার ফরোয়ার্ড ফিকরু জিয়েদা ও ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড পল এমিল একটি করে এবং আরামবাগের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কেস্টার এ্যাকন একমাত্র গোলটি করেন।
ম্যাচের শুরু থেকেই আরামবাগ আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিয়ে খেলাকে উপভোগ্য করে তুলে। শুরুতেই তারা চমক দেখায়। ৩ মিনিটে গোল করে সবাইরক চমকে দেয় মতিঝিল ক্লাব পাড়ার দলটি। এ সময় দ্রæত গতির পাল্টা আক্রমণ থেকে গোল পান আরামবাগের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কেস্টার এ্যাকন। মাঝমাঠ থেকে দ্রæতগতির একটি থ্রু পাস বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মিডফিল্ডার শাহাদুজ্জামান পলাশ। কেস্টার কোনাকুনি দৌড়ে এসে বল আয়ত্তে নেন এবং শেখ রাসেলের বক্সের ডানপ্রান্ত থেকে মাটি কামড়ানো শটে বল জড়ান (১-০)। এগিয়ে গিয়ে উল্লাসে মেতে উঠে আরামবাগ শিবির। কিন্তু তাদের এই উল্লাস মাত্র এক মিনিট স্থায়ী ছিলো। চার মিনিটে নিজের প্রথম গোল করে শেখ রাসেলকে সমতায় ফেরান ঢাকার মাঠে প্রথম নামা ইন্ডিয়ান সুপার লিগে চেন্নাই এফসি’র পক্ষে খেলা ইথিওপিয়ান স্ট্রাইকার ফিকরু জিয়েদা। রাসেল অধিনায়ক আতিকুর রহমান মিশুর একটি দ্রæত গতির ফ্রি-কিক ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি আরামবাগ ডিফেন্ডাররা। বল পেয়ে যান ফিকরু। আরামবাগ গোলরক্ষক মিটুল হাসানের সামনে থেকে বল তিনি নিয়ন্ত্রণে নেন। এরপর ঠাÐা মাথায় প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বল ঠেলে দেন জালে (১-১)। গোল কারার পর ট্রেড মার্ক তিনটি ডিগবাজি দিয়ে ফিকরু উদযাপন করেন ডাকার মাঠে তার প্রথম গোলটি।
অমিমাংনিতভাবে ম্যাচ বিরতি গড়ালেও বিরতির পর যেন এগিয়ে যেতে মরিয়া হয়ে ওঠে আরামবাগ। তারা একের পর এক আক্রমণ চালায় রাসেলের রক্ষণদুর্গে। কিন্তু অভিজ্ঞ ফিনিশারের অভাবে দ্বিতীয় গোল পায়নি তারা। উল্টো ম্যাচ শেষ হওয়ার নয় মিনিট আগে আরেকটি গোল হজম করে আরামবাগ। ম্যাচের ৫১ মিনিটে কেস্টার এ্যাকনের নেয়া বাঁকানো শটটি রাসেল গোলরক্ষক লিটনের গøাভস ছুঁয়ে আঘাত হানে ক্রসপিসে। দ্বিতীয় গোল হজম থেকে বেঁচে যায় প্রিমিয়ার লিগ রানার্সআপরা। শেখ রাসেলও আক্রমণ চালায়। কিন্তু আরামবাগের রক্ষণভাগের দৃঢ়তা তাদেরকে রুখে দেয়। ৬৫ মিনিটে গোল পেতে পারতো শেখ রাসেল। কিন্তু আরামবাগ গোলরক্ষক মিটুল হাসানের দৃঢ়তায় গোল পায়নি তারা। এসময় বক্সের বামপ্রান্ত থেকে বাঁকানো ফ্রি কিক নিয়েছিলেন আতিকুর রহমান মিশু। মিটুল হাওয়ায় গা ভাসিয়ে দিয়ে বল পাঞ্চ করে দলকে বিপদমুক্ত বরেন। শেখ রাসেলের রক্ষণভাগের দুর্বলতা আবারও প্রকট হয়ে দেখা দেয় ম্যাচের ৭২ মিনিটে। আরামবাগ মিডফিল্ডার আবু সুফিয়ান সুফি শেখ রাসেলের গোলরক্ষক লিটনকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন। তার শট ফিস্ট করে বলের গতিপথ বদলে দেন লিটন। তবে নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার পল এমিলের ৮২ মিনিটের করা গোলে নিশ্চিত হয় শেখ রাসেলের জয়। এসময় অরুপ বৈদ্যর করা একটি ক্রস এসে পড়ে আরামবাগ বক্সে। ডিফেন্সের ক্লিয়ারের পর বল পেয়ে যান ফাঁকায় দাঁড়ানো পল এমিল। তিনি ডানপায়ের জোরালো শটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন (২-১)। শেষ পর্যন্ত তার এই গোলই তিন পয়েন্ট এনে দেয় শেখ রাসেলকে।
এদিকে একই ভেন্যুতে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত দিনের অন্য ম্যাচে চট্টগ্রাম আবহানী ২-০ গোলে হারায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কষ্টের জয়েই শুরু রাসেলের
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ