অর্থনৈতিক রিপোর্টার : কম্বোডিয়ায় সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, কম্বোডিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশে বিপুল বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ কম্বোডিয়া বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করলে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। এতে করে উভয় দেশ উপকৃত হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী ২০১৭ সাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কম্বোডিয়া সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ-কম্বোডিয়ার মধ্যে একুট চুক্তি এবং নয়টি এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। বর্তমানে উভয় দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। উল্লিখিত চুক্তি এবং সমঝোতাগুলো যথাযথ ভাবে কাজে লাগিয়ে উভয় দেশ উপকৃত হতে পারে এবং সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। তিনি কম্বোডিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রীকে আগামী জুনের শেষে বা জুলাই-এর প্রথমে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বাইলেটারেল ট্রেড এগ্রিমেন্ট(বিটিএ) স্বাক্ষরের জন্য বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
কম্বোডিয়ায় সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল বুধবার স্থানীয় নমপেন হোটেলে কম্বোডিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী প্যান সোরাসাক এর সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এসব কথা বলেন। এছাড়া বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল কম্বোডিয়ার ফোম প্যান হোটেলে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড, ফাইনান্স এ ডেভেলপমেন্ট অফ গেøাবাল ভেলু চেইন শীর্ষক কর্মশালাটির উদ্বোধন করেন।
কম্বোডিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের কম্বোয়িয়ায় বিনিয়োগের আহবান জানিয়ে বলেন, কম্বোডিয়ায় উৎপাদিত কাসাডো থেকে উন্নত মানের ঔষধ (ক্যাপ্সুল) তৈরী করা সম্ভব। ঔষধ শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে এগুলো ব্যবহার করে অতি অল্প খরচে উন্নমানের ঔষধ উৎপাদন করা সম্ভব। তিনি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের কম্বোডিয়ায় বিনিয়োগের আহবান জানান।
উল্লেখ্য, বর্তমানে কম্বোডিয়ার সাথে বাংলাদেশের প্রায় ছয় মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য রয়েছে। গত অর্থ বছর বাংলাদেশ কম্বোডিয়ায় ৫.৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে, একই সময়ে মাত্র দশমিক চার মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। বাংলাদেশ প্রধানতঃ ওষুধ, তৈরী পোশাক, প্লাষ্টিক পন্য, চামড়াজাত পণ্য এবং তামাক রফতানি করে আসছে।
বাংলাদেশ পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মো. মাহবুবুর রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট মিসেস রোকেয়া আফজাল রহমান, আজিম গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ঢাকা চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানসহ বাংলাদেশ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সদস্যগণ এবং থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিসেস সাঈদা মুনা তাসনিম।