নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পারলো না ঢাকা আবাহনী লিমিটেড, ঠিকই ঘুরে দাঁড়ালো ভারতের আইজল এফসি। এএফসি কাপের হোম ম্যাচে আইজল এফসি তেমন সুবিধা করতে না পারলেও অ্যাওয়ে ম্যাচে আবাহনীকে রুখে দিয়েছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে আইজল ৩-০ গোলে হেরেছিল। এবার ঢাকায় ফিরতি ম্যাচে তারা ড্র করে মাঠ ছেড়েছে। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফিরতি লেগের ম্যাচে এগিয়ে থেকেও আইজল এফসির বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে আবাহনী। আবাহনীর পক্ষে নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার এমেকা ডার্লিংটন ও আইজলের এন্ডরেই ইওনেসকো একটি করে গোল করেন।
আগের দিন ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আইজলের কোচ সন্তোষ কেশব বলেছিলেন, হোম ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারলেও ঢাকায় ফিরতি ম্যাচে ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবে তার দল। কোচের কথাই ঠিক হলো, ম্যাচ ড্র করে সেটাই প্রমাণ করলেন আইজলের ফুটবলাররা। ড্র করতে পেরে আইজল এফসির কোচ খুশী হলেও হতাশ আবাহনী কোচ সাইফুল বারী টিটু। কারণ এই ড্র’তে মূল পর্বে খেলার স্বপ্ন অনেকটাই শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নদের। অথচ ম্যাচে তিন পয়েন্ট পেলেই গ্রæপ রানার্সআপ হয়ে পরের রাউন্ডে যাবার সম্ভাবনাটা টিকে থাকতো। ২ মে মালদ্বীপের নিউ রেডিয়েন্টের বিপক্ষে খেলবে আবাহনী। তাদের শেষ ম্যাচ ১৬ মে ঢাকায় ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে।
কাল ম্যাচের শুরু থেকে বল পজিশনে এগিয়েছিল আবাহনীই। ১০ মিনিটে প্রথম কর্ণার পায় তারা। কিন্তু ওয়ালী ফয়সাল বলটা সঠিকভাবে বক্সে ফেলতে ব্যর্থ হন। পরের কয়েক মিনিট আইজলের একের পর এক আক্রমণে আবাহনী শিবিরে আতংকের সৃষ্টি হয়। তাদের আক্রমণ ফেরাতেই ব্যস্ত থাকতে হয় স্বাগতিক রক্ষণভাগকে। তবে ম্যাচের ২১ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করে আবাহনী। এসময় বক্সের খুব কাছেই ফ্রি কিক পায় তারা। নাইজেরিয়ান সানডে সিজোবার শট আইজল গোলরক্ষকের হাতে লেগে অল্পের জন্য জালে জড়ায়নি। মিনিট দুয়েক পর বাঁ প্রান্ত দিয়ে সানডের বাড়িয়ে দেয়া বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ইমন বাবু। কিন্তু তিনি শট নিতে ব্যর্থ হলে আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া হয়। তবে ৩০ মিনিটে গোল আদায় করে নেয় স্বাগতিকরা। এসময় নিজেদের বক্সে এমেকা ডার্লিংটনকে ফাউল করেন আইজলের লালরামমুনমাওয়ে। রেফারী পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট কিক থেকে এমেকা ডার্লিংটন গোল করে আবাহনীকে এগিয়ে নেন (১-০)। কিন্তু তাদের উল্লাস থেমে যায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে গোল করে সমতায় ফিরে আইজল। এসময় ডানপ্রান্ত দিয়ে সতীর্থের পাসে আবাহনী বক্সে বল পেয়ে খুব সহজেই বল জালে জড়ান এন্ডরেই ইওনেসকো (১-১)। ৭০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মিডফিল্ডার লালথাথাঙ্গার শট ফিরিয়ে দেন আবাহনী গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল। ম্যাচের অন্তিম মূহুর্তে সানডের শট আইজলের জালে জড়ালে অফসাইডের ফাঁদে পড়ে গোল বঞ্চিত হয় আবাহনী। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় দু’দলকে।
ম্যাচ ড্র করে উচ্ছ¡সিত আইজল কোচ সন্তোষ কেশব বলেন, ‘ভালো একটি ম্যাচ হয়েছে। অ্যাটাকিং এই ম্যাচের স্কোর আরও বড় হতে পারতো। তবে আমাদের বিপক্ষে দেয়া পেনাল্টিটা সন্দেহজনক ছিল। অ্যাওয়ে ম্যাচে আমরা এক পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়েছি এটাই বড় কথা। আবাহনীও সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। ম্যাচটি ফিফটি ফিফটি হয়েছে।’ হতাশ আবাহনী কোচ সাইফুল বারী টিটুর কথা, ‘আমি হতাশ। তবে ড্রয়ের দায়-দায়িত্ব আমার কাধেই নিচ্ছি। আজ (কাল) খেলোয়াড়দের ফিটনেস লেভেল ভালো ছিল না। ২-০ তে এগিয়ে থাকলে ম্যাচ জয়ে সহজ হতো। ওরা আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে তা মানতেই হবে। অ্যাটাক মুভমেন্টও ভালো ছিল তাদের। আমাদেরও ভালো সুযোগ ছিল তিন পয়েন্ট তুলে নেয়ার। কিন্তু আমরা পারিনি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।