Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একতরফা যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও সংঘর্ষ অব্যাহত, আরো ১৩ জন নিহত

প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : বিতর্কিত ভূখ- নগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘর্ষে তৃতীয় দিনে গত সোমবার আরো ১৩ জন নিহত হয়েছে এবং শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে এ পর্যন্ত উভয় পক্ষে নিহতের সংখ্যা ৪৬-এ পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন আরো অনেক। আজারবাইজানের একতরফা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও সেখানে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে এবং সংঘর্ষের ব্যাপ্তি আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, কয়েক দশক ধরে বিতর্কিত এই অঞ্চলের সংঘর্ষের ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ করছে তুরস্ক। রাশিয়া ও পশ্চিমারা সংঘর্ষ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠ মিত্র তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান বলেছেন, আর্মেনিয়া নিয়ন্ত্রিত নগরনো কারাবাখ অঞ্চল একদিন বাকুর নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কারণ এটা আজারবাইজানেরই অংশ।
আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, আজারবাইজানের সৈন্যরা একটি বাসে হামলা চালালে স্বেচ্ছায় যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ৫ জন নিহত হয়। এর আগে আর্মেনিয়া সমর্থিত কারাবাখের বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্তৃপক্ষ জানায়, কামানের গোলায় তাদের ৩ সাধারণ নাগরিক ও দুজন সৈন্য নিহত হয়েছে। বাকু জানায়, রাতভর আর্মেনীয় বাহিনীর মর্টার ও গ্রেনেড হামলায় তাদের তিন সৈন্য নিহত হয়েছে। আজারবাইজান আর্মেনিয়া নিয়ন্ত্রিত এলাকার বেশ কিছু কৌশলগত এলাকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের দাবি করেছে। যে এলাকাগুলোর কথা তারা বলছে, সেগুলো আন্তর্জাতিকভাবেই আজারবাইজানের অংশ বলে স্বীকৃত।
আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্ট সেরজ সারকিজিয়ান সোমবার বলেছেন, উভয় পক্ষের গেরিলারা নিজ নিজ স্থানে ফিরে গেলেই কেবল যুদ্ধবিরতি সম্ভব। আজারবাইজান একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও অব্যাহত সংঘর্ষের একদিন পর তিনি এ মন্তব্য করলেন।
আজারবাইজানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জাকির গাসানোভ আর্মেনিয়া সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা হামলা অব্যাহত রাখলে সোমবার সেনাবাহিনীকে কারাবাখের রাজধানী স্তেপানাকার্টে হামলার প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই রাজধানীতে ৫০ হাজার লোকের বাস।
এদিকে আর্মেনিয়ার বিভিন্ন শহর থেকে কয়েকশ স্বেচ্ছাসেবী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে থেকে যুদ্ধ করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। অন্যদিকে আর্মেনিয়ার রণাঙ্গন এলাকার গ্রামগুলো থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন যুদ্ধবিরতির জন্য উভয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। রাশিয়া দুটো দেশের কাছেই অস্ত্র বিক্রি করে, তবে আর্মেনিয়ার সাথে তার অর্থনৈতিক ও সামরিক ঘনিষ্ঠতা বেশি। কিন্তু গত নভেম্বরে সিরিয়া সীমান্তে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ভূপাতিতকারী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান সংঘর্ষময় পরিস্থিতিতে ঘি ঢেলে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা আজ ভ্রাতৃপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ দুটোর সাথে সম্পর্ক রেখে চললেও কারাবাখ একদিন তার আসল মালিকের কাছে ফিরে যাবে। টেলিভিশনে তার এই মন্তব্যের পর সেখানে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: একতরফা যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও সংঘর্ষ অব্যাহত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ