মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : জাপানে অতিরিক্ত কাজের চাপে মৃত্যুর হার বাড়ছে। স্বাভাবিক কাজের চেয়ে অধিক কাজের চাপে মৃত্যুকে জাপানীদের ভাষায় কারোশি বলে থাকে। সম্প্রতি দেশটিতে এ ধরনের অস্বাভাবিক মৃত্যু সংক্রান্ত ক্ষতিপূরণ দাবির হার বেড়ে যাওয়ায় এ আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে। আগে এ প্রবণতা জাপানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে দেখা গেলেও এখন তরুণ ও নারী কর্মীদের মধ্যেও তা ছড়িয়ে পড়ছে।
বর্তমানে জাপানে শ্রম চাহিদা ১৯৯১ সালের পর সবচেয়ে বেশি। ধারণা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আরো বেশি সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে শ্রমশক্তিতে যুক্ত করার মাধ্যমে জনসংখ্যা কমে যাওয়ার প্রভাব সামাল দিতে পারবেন। জাপানে শ্রম আইনের যথেষ্ট প্রয়োগ না থাকায় এর সুযোগ নিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠানই তাদের কর্মীদের নিংড়ে কাজ আদায় করে থাকে। এটা অনেক সময়ই মারাত্মক দুঃখজনক পরিণতি ডেকে আনে। এর ফলে অনেকেই অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। জাপানের শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, বর্তমানে কারোশির কারণে ক্ষতিপূরণ দাবির সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। মার্চের শেষ নাগাদ এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৫৬টি। প্রকাশিত তথ্যে আরো বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক সেবা, জাহাজ শিল্প ও নির্মাণ খাতে এ ধরনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, এই খাতগুলোয় সবচেয়ে বেশি শ্রমিক ঘাটতি রয়েছে। ন্যাশনাল ডিফেন্স কাউন্সেল ফর ভিকটিমস অব কারোশি মহাসচিব হিরোশি কাওয়াহিতো জানান, এ ধরনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা আরো দশগুণ বেশি হবে। মূলত সমস্যা সমাধানে সরকারের উদাসীনতার কারণেই এ ধরনের ঘটনা বাড়ছে। এর আগে এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছিল, ২০০৯ সালে জাপানে বয়োবৃদ্ধি এবং সন্তানধারণে সক্ষম নারীর সংখ্যা কমে যাবার কারণে দেশটিতে মৃত্যুর হার জন্মহারকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ফলে শিশুর সংখ্যা কমে যাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে। জাপান সরকার জানিয়েছে, জনসংখ্যা দ্রুত কমে গেছে। আর এ বছরটিতে জন্মহার এর আগের বছরের থেকেও ২ শতাংশ কমেছে। প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, গত বছর ২২,০০০ শিশু জন্ম নেয় যেখানে ১.০৬৯ মিলিয়ন শিশুর জন্ম নেবার কথা ছিল। ২০০৮ সাল থেকে জন্মহার কিছুটা কমতে শুরু করে। ১৯৪৭ সাল থেকে জাপান সরকার জনসংখ্যা সম্পর্কিত তুলনামূলক বিবরণ রেকর্ডে রাখা শুরু করে। সে অনুযায়ী, ২০০৯ সালে মৃত্যুহার দাঁড়িয়েছে ১.১৪৪ মিলিয়নে, যা সর্বোচ্চ। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।