পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
* নির্মিত হবে ওয়াকওয়ে * পুকুরের মধ্যখানে নৌকার আদলে থাকবে রেস্তোরা * সকাল থেকে সন্ধ্যা হাটাচলার জন্য থাকবে উন্মুক্ত
ফয়সাল আমীন : কাগুজে কলমে ঠাঁই হয়েছিল সিলেট নগরীর ঐতিহাসিক ধোপাদিঘীর। দূষণে ভরাটে দখলে হারিয়েছিল তার বাস্তবতা। কিন্তু এবার বদলে যাচ্ছে সেই চিত্র। আকার -আয়তন শুধু ফিরে পাচ্ছে না সেই সাথে নগরবাসীর বিনোদনের স্থান হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন। দিঘিকে দিঘির মতো রূপ যৌবনে ফিরে ন্ওেয়ার বাস্তবিক পরিকল্পনায় পুলকিত সচেতন নগরবাসীও। এর মধ্যে মেয়র আরিফুল হকের ডায়ানামিক নেতৃত্ব ও জনবান্ধব কর্মতৎপরতা আরেক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন তারা । ভারতীয় সরকারের অর্থায়নে ২১ কোটি ৮৫ লক্ষ ৬০ হাজার ৫শ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের আ্ওতায় গত ফেব্রুয়ারী মাস থেকে ধোপাদিঘীর সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাজ শুরু করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। নোংরা, পুতি, দুর্গন্ধময় পরিত্যক্ত এই দীঘিকে নান্দনিক সৌন্দর্য্যে রূপ দেওয়ার সৌন্দয্যবর্ধন কাজও শুরু হচ্ছে শিগগিরই। সেই সাথে আশেপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দীঘির প্রকৃত আকার ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, এমনটাই জানিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল শাখা
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দিঘীর খনন কাজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। এরপর দিঘিকে জনবান্ধব করতে চারিদিকে নির্মাণ করা হবে ্ওয়াকওয়ে। আরাম বা বিশ্রাম করার জন্য একাদিক বেঞ্চ, শিশুদের জন্য বাড়তি বিনোদনে থাকবে একাধিক রাইড স্থাপন করা হবে। দিঘির পানি ব্যবহার করতে দৃষ্টিনন্দন ঘাট নির্মাণ করা সহ প্যাডেল চালিত বোট রাখা হবে। পরিবেশ বান্ধব সুদৃশ্য বৃক্ষ রোপন করা হবে। সেই সাথে দিঘির মধ্যখানে থাকবে নৌকার আদলে ভাসমান রেস্তোরা। সকাল-বিকেল ও সন্ধ্যায় হাঁটতে রাতে আলোক উজ্জল করণসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল শাখা সূত্র জানিয়েছে, ধোপাদিঘীর প্রকৃত আকার অনেক বড় থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে দীঘির জায়গাও অবৈধভাবে দখল হওয়ায়, বাস্তবিক অর্থে দিঘি ছোট হয়ে গেছে। সেকারনে প্রকল্পের আওতায় এসব অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করে দীঘির পুরাতন অবয়বে ফিরে আনা হচ্ছে।
সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর জানান, ভারতীয় সরকার যে তিনটি প্রকল্পে বরাদ্দ দিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ধোপাদিঘীরপাড় প্রকল্প। পরিবেশের উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়েই যাচাই বাছাই করে এই প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রনালয়। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এই স্থানটি নগরবাসীর জন্য একটি আদর্শ জায়গায় পরিণত হবে।
এব্যাপারে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে আমার একটি স্বপ্ন ছিল সিলেট মহানগরবাসীর হাঁটাচলার জন্য একটি নির্মল পরিবেশময় স্থান গড়ে তোলা। যেখানে নগরবাসী কিছুটা সময় নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে উপভোগ করবেন। ধোপাদিঘীকে কেন্দ্র করে এই রকম একটি আবহ তৈরী করা হচ্ছে।’ তিনি এ্ও বলেন, দীঘির আকার কমবে না, বরং বাড়বে এই প্রসঙ্গে মেয়র সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ‘বর্তমানে দীঘিটির মধ্যে পানির চারিধার আছে ৩.৪১ একর। দীঘির দখলকৃত জায়গা উদ্ধারের পর প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দীঘির পানির চারিধার বৃদ্ধি পেয়ে কমপক্ষে ৩.৭৫ একরে উন্নীত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।