পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শত বছরের পুরানো এবং জরাজীর্ণ কুমিল্লা বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন (টাউনহল) আধুনিক ও নান্দনিক স্থাপত্য শৈলীর রূপ পেতে আর কোনো বাধা নেই। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এম এ খালিদ টাউনহলের স্থলে নান্দনিক কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের বিষয়ে বলেছেন, টাউনহলের কাজ থেমে থাকার সুযোগ নেই। গত শনিবার সন্ধ্যায় বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তনের বিশেষ সাধারণ সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি আধুনিক ও নান্দনিক স্থাপত্য শৈলীর টাউনহল নির্মাণে প্রতিবন্ধকতা না থাকার বিষয়টি তুলে ধরেন। ২০২০ সালের শেষের দিকে অনেকটা ব্যবহার অনুপযোগী টাউনহল ভেঙে নান্দনিক কমপ্লেক্স করার প্রস্তাবনা উঠলেও বিশিষ্ট কিছু ব্যক্তি ও অনলাইন পত্রিকা এ উদ্যোগের বিরোধিতা শুরু করে। ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর টাউহলের আধুনিকায়নের বিষয়ে গণশুনানীতে শিক্ষক, রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়ি, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়াসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে নতুন নকশায় আধুনিক ভবন নির্মাণের দাবি জানায়। ওইদিন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গণশুনানীতে উপস্থিত থেকে নান্দনিক টাউনহল নির্মাণের পক্ষে কুমিল্লার ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির বক্তব্য গ্রহণ করেন।
নগরীর অনেকেই বলেছেন, কুমিল্লা টাউন হল অডিটোরিয়াম এবং গণপাঠাগারটি শত বছরের পুরানো এবং জরাজীর্ণ। অডিটোরিয়ামে ৫০০ লোকের সমাবেশ করাও বেশ কঠিন। তাই এটি ভেঙে বীরচন্দ্র নগর মিলনায়তন ও গণপাঠাগার নামেই আধুনিক নান্দনিক ভবন নির্মাণের প্রয়োজন। নতুন স্থাপত্য শৈলীর নকশায় পাঁচ হাজার লোক নিয়ে সমাবেশ করার মতো অডিটোরিয়াম এখন অনেক বেশী যৌক্তিক।
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, কুমিল্লার ব্যাপক উন্নয়ন হলেও নগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়ে বীরচন্দ্র নগর মিলনায়তন ও গণপাঠাগারের বর্তমান জরাজীর্ণ অবস্থা সবকিছুকে ম্লান করে দেয়। বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর কুমিল্লা গড়তে হলে বীরচন্দ্র নগর মিলনায়তন ও গণপাঠাগারের আধুনিকায়নের বিকল্প নেই। এটিকে পুরাকীর্তি নয়, ঐতিহ্যের ধারকবাহক হিসেবে আধুনিকায়নের মাধ্যমে সংরক্ষণ করতে চাই। এখানে নান্দনিক কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে আর বাধা নেই। আমি সংস্কতি প্রতিমন্ত্রী এম এ খালিদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সায় দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কুমিল্লা টাউনহলের কাজ থেমে থাকার সুযোগ নেই। আমি বলেছি কুমিল্লা টাউনহলের মালিক কুমিল্লার জনগণ। এই প্রতিষ্ঠান একটি রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।