গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
কাশ্মীরের ৮ বছর বয়সী মুসলিম শিশু আসিফাকে একটি মন্দিরে আটকে রেখে একদল হিন্দুর গণধর্ষন ও নৃশংস হত্যার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে ঢাকার বিশিষ্টজনরা গত রোববার সকালে ভারতীয় দূতাবাসে এক স্মারকলিপি দিয়েছেন। এতে দ্রুততম সময়ে অপরাধীদের বিচার দাবির পাশাপাশি ওই ঘটনায় ক্ষমতাসীন বিজেপির মন্ত্রীদের ভূমিকার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। গতকাল (রোববার) সকালে স্মারকলিপিটি ভারতীয় দূতাবাসে প্রদান করা হয়েছে। স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন দূতাবাসের কর্মকর্তা সেলিনা।
বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে এই প্রতিবাদলিপিটি পাঠিয়েছেন আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলম, সাইয়্যিদ মুক্তাদুল হুসাইন ও মুহম্মদ আরিফুর রহমান; এডভোকেট এস. এম. শফিকুল ইসলাম এডভোকেট মুহম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, ফার্মাসিস্ট এ.বি.এম. রুহুল হাসান, চিকিৎসক ডা. মুহম্মদ আব্দুল আলী, ইঞ্জিনিয়ার মুহম্মদ আমিনুল ইসলাম মিয়া।
শিশু আসিফার গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে স্মারকলিপিতে বলা হয়, এই ঘটনাটি ভারতের আর দশটি ধর্ষণের মতো কেবলই একটি বিচ্ছিন্ন অপরাধ নয়, বরং এটি আসিফাদের সম্প্রদায় যাযাবর মুসলিম বাখারওয়ালদের কাশ্মীর থেকে বিতাড়নের উদ্দেশ্যে একটি পরিকল্পিত আক্রমণ। অপরাধের সাথে যুক্ত সবাই হিন্দুর্ধমীয়। কিছু উগ্রপন্থী হিন্দু সংগঠন ইতোমধ্যে অপরাধীদের পক্ষে মিছিল-সমাবেশ করেছে। ক্ষমতাসীন বিজেপির বনমন্ত্রী লাল সিং চৌধুরী ও শ্রম মন্ত্রী চন্দ্র প্রকাশ ওইসব মিছিলে যোগ দিয়েছে।”
স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ আসিফার ঘটনায় বিজেপির মন্ত্রীদের প্রতিক্রিয়া এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের জঘন্য অপকর্মে বাংলাদেশের মুসলিমরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ও ক্রুদ্ধ বলে জানান এবং ঘটনার সাথে জড়িত সকল অপরাধীদেরকে দ্রুততম সময়ে বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারত সরকারের প্রতি দাবী জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।