Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভিসির সামনে চার ছাত্রীর মৌন প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলের তিন শিক্ষার্থীতে মধ্যরাতে বের করে দেয়ার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের সামনে চার শিক্ষার্থী হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মৌন প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে রোকেয়া হলের ২০১২-১৩ সেশনের র‌্যাগ ডে অনুষ্ঠানে শেষে বের হওয়ার পথে হল অডিটোরিয়ামের সামনে এই চার শিক্ষার্থী এই প্রতিবাদ জানান।
প্রতিবাদকারীদের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল- ‘সুফিয়া কামাল হলের মেয়েদের বের করে দেয়া হলো কেন’, ‘রাতের আঁধারে হামলা কেন’, ‘ক্যাম্পাস কোনো গ্যাস চেম্বার নয়, এবং ‘পুলিশ মুক্ত ক্যাম্পাস চাই’ ইত্যাদি
মৌন প্রতিবাদকারী এই চার শিক্ষার্থী হলেন- ওমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের জয়ন্তী রেজা ও আফরিন শাফি, ইতিহাস বিভাগের তানজীলা তানজি, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দিপ্তি। এরা সবাই চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। উল্লেখ্য, ‘অপতথ্য’ ছড়ানোর অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে কয়েকজন ছাত্রীকে কতৃপক্ষ বের করে দেয়। গভীর রাতে ছাত্রী বের করে দেয়ায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এই তিন ছাত্রী হলেন গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শারমীন শুভ, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কামরুন্নাহার লিজা এবং গণিত বিভাগের পারভীন। এদের বের করে দেয়ার সময় তারা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। একজন অভিভাবক শুধু বলেন, আমাদের কথা বলতে নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেছেন তাদের বের করে দেয়া হয়নি। অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
ওইদিন হলে ১০ থেকে ১৫ জন ছাত্রীর মোবাইল জব্দসহ তাদের রুমে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা সবাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয় ছিল।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ওই রাতে হল ছাত্রলীগের সভাপতি এশা কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেয়া ছাত্রীদের ‘শাসন› করছিলেন। তার প্রতিক্রিয়ায় সাধারণ ছাত্রীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। মোর্শেদা খানম নামে একজন ছাত্রীর পা কেটে যায়। তখন গুজব ছড়িয়ে পরে যে মোর্শেদার পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়েছে। এতে বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা এশাকে জুতার মালা পরিয়ে দেয়। তার ওই রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় এশাকে বহিষ্কার করে। ছাত্রলীগও বহিষ্কার করে। কিন্তু তিন দিনের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্রলীগ এশার বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার করে। এখন চলছে জুতার মালা পরানোর জন্য কারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেয়ার পর্ব। ছাত্রলীগ এরইমধ্যে ২৪ জনকে বহিষ্কার করেছে। তাদের মধ্যে মোর্শেদা খানমও আছে।



 

Show all comments
  • নাঈম ২২ এপ্রিল, ২০১৮, ৫:২৭ এএম says : 0
    আশা করি সকলের বোধোদয় হবে
    Total Reply(0) Reply
  • AI ২২ এপ্রিল, ২০১৮, ১০:০৭ এএম says : 0
    Now who all talk about their rights are Rajakar. Only Awami League is Deshpremi (দেশপ্রেমী) with the help of ............
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভিসি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ