পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
গত বৃহস্পতিবার লন্ডনের ন্যানক্যাস্টার হাউজে দুই দেশের এই দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয় বলে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানিয়েছেন।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের জানান, কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দুই প্রধানমন্ত্রী লন্ডনের ল্যাংকাস্টার হাউজে বৈঠকে মিলিত হন এবং দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমও উপস্থিত ছিলেন। রোহিঙ্গা ও তিস্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি-না সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বৈঠকে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী কমনওয়েলথ ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেন।
শহীদুল হক বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনাকালে ভারত তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে, যা আমাদের চিন্তার কাছাকাছি। তিনি বলেন, ভারত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সহায়তা করছে। তিনি বলেন, ভারতের পশ্চিবঙ্গ রাজ্যের বিশ্ব ভারতী ইউনিভার্সিটিতে ‘বাংলাদেশ হাউজ’ উদ্বোধনের বিষয়টিও দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় স্থান পায়। ২৫তম কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দুই প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে যুক্তরাজ্যের রাজধানীতে অবস্থান করছেন। গত বৃহস্পতিবার এ সম্মেলন শুরু হয়।
আলোচনায় রোহিঙ্গা
বাকিংহাম প্যালেসে কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর বিভিন্ন সেশনে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে অনেকক্ষণ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘে যে পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন সেটারও পুনরুল্লেখ করেছেন তিনি। এ বিষয়ে কমনওয়েলথের সমর্থন চাওয়ার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ অনেক নেতাই রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে সম্মেলনে কথা বলেছেন বলে জানান শহীদুল হক।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এবং এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়কারী মো. আবুল কালাম আজাদও মোদি-হাসিনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।