মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তান-মার্কিন সম্পর্কের অবনতির কারণে ইসলামাবাদ উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র কেনার জন্য চীনের দিকে ঝুঁকছে। কারণ অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রহণযোগ্যতা কমে গেছে। ফিনান্সিয়াল টাইমসের (এফটি) রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে। সাবেক এক মন্ত্রী এফটিকে বলেছেন, “সময়ের সাথে সাথে আমরা শিখেছি যে প্রতিশ্রুতি রক্ষার ব্যাপারে আমেরিকা যাচ্ছেতাই রকম অগ্রহণযোগ্য। এখানে সম্পর্ক ছিন্ন হতে বাধ্য।” একদিকে, পাকিস্তানের কাছে আটটি জঙ্গিবিমান বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস। অন্যদিকে, নতুন এফ-১৬ বিমানের দাম ২৭০ মিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৭০০ মিলিয়ন ডলার করা হয়েছে। পুরো বোঝাটা এখন ইসলামাবাদের ঘাড়ে। পাকিস্তানের দিক থেকে এটা ছিল বোধোদয় যে, তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র দেশটিকে অত্যাধুনিক অস্ত্র আমদানির প্রধান উৎস ভাবার আর উপায় নেই। তাছাড়া ভারতের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় এ ব্যাপারটি আরও নিশ্চিত হয়েছে পাকিস্তান। এর পরপরই চীনের দিকে মনোযোগ দেয় পাকিস্তান এবং যৌথভাবে তারা জেএফ-১৭ থান্ডার জঙ্গিবিমান তৈরি করে। এখানে পুরো প্রযুক্তিও হস্তান্তর করেছে চীন। এই বিমানগুলো মার্কিন এফ-১৬ বিমানের সমতুল্য। এই সিদ্ধান্তের পর সামরিক সরঞ্জাম কেনার ব্যাপারে চীনের দিকে আরও ঝুঁকে গেছে পাকিস্তান। ২০১০ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পাকিস্তানের অস্ত্র কেনার পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে এবং এক বিলিয়ন ডলারের জায়গায় সেটা ২১ মিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে। স্টকহোক ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (সিপরি) তথ্যমতে এটা জানা গেছে। যদিও চীনের কাছ থেকে অস্ত্র কেনার পরিমাণও এই সময়টাতে ২৩৩ মিলিয়ন ডলার কমেছে। ৭৪৭ মিলিয়ন ডলার থেকে পরিমাণটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫১৪ মিলিয়ন ডলারে। এর পরও ইসলামাবাদের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় যোগানদাতা হলো চীন। চীন এখন পাকিস্তানের কাছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্র বিক্রি করছে এবং আরও অত্যাধুনিক অস্ত্রাদি তৈরি করছে, যেগুলোর জন্য একসময় যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল ছিল পাকিস্তান। ট্রাম্প প্রশাসন ২ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা বাতিল করার পর পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের চরম অবনতি হয়। ফিনান্সিয়াল টাইমস মনে করছে ট্রাম্পের পাকিস্তানকে প্রয়োজন হবে কারণ আফগানিস্তানের যুদ্ধের দিকে মনোযোগ দিয়েছে তারা। কিন্তু ইসলামাবাদ মার্কিন ডাকের জবাবে এখন খুব সামান্যই সাড়া দিচ্ছে। সিপরির তথ্য মতে, ২০১১-২০১৫ সময়কালে চীনের অস্ত্র রফতানির পরিমাণ ৮৮ শতাংশ বেড়েছে। সিপরির সিনিয়র গবেষক সিমোন ওয়েজেমান বলেন, “২০ বছর আগেও পশ্চিমের সাথে প্রতিযোগিতা করার মতো প্রযুক্তি চীনের হাতে ছিল না। কিন্তু এখন পার্থক্য তেমন নেই বললেই চলে। বহু দেশ চীনা অস্ত্রকে বরং বেশি নিরাপদ মনে করে। কারণ গণতন্ত্র বা মানবাধিকারের মতো ইস্যুতে বেইজিং তাদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবে না।” সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।