পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া কমনওয়েলথ সম্মেলনে ট্রুডো বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রশ্নে শেখ হাসিনা ‘অভাবনীয় নেতৃত্ব’র পরিচয় দিয়েছেন। সংকট নিরসনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য কমনওয়েলথ দেশগুলোর সমর্থনও কামনা করেন তিনি। উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা নিধনের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই সোচ্চার অবস্থান নিয়েছে ট্রুডোর দেশ কানাডা। মিয়ানমারে বিশেষ দূত পাঠিয়ে তারা নিধনযজ্ঞের তদন্ত করেছে।
২৫তম কমনওয়েলথ সম্মেলনের প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার সদ্যভুক্ত দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের প্রথম নির্বাহী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। বহুভাষার ভারতীয় বার্তা সংস্থা ইউনিইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, সেই অধিবেশনের উন্মুক্ত বক্তৃতায় ট্রুডো শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন। ট্রুডো তার বক্তৃতায় বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভাবনীয় নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন। কমনওয়েলথ নেতৃবৃন্দের অবশ্যই তাকে সমর্থন দেওয়া উচিত।’
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। জাতিগত নিধন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ৬ লাখ ৯২ হাজার রোহিঙ্গা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে রোহিঙ্গা স্রোত জোরালো হওয়ার এক মাসের মাথায় মন্তব্য করেন, ‘আমরা ১৬ কোটি মানুষকে খাবার দেই। সুতরাং বিপদে পড়ে আমাদের দেশে আসা দুই-পাঁচ-সাত লাখ মানুষকে খাবার দেওয়ার ক্ষমতাও আমাদের আছে।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমকে উদ্ধৃত করে বিএসএস-এর খবরে বলা হয়েছে, কমনওয়েলথ মহাসচিবের রিপোর্ট উপস্থাপনের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আলোচনার জন্য ফ্লোর উন্মুক্ত করে দেন। জাস্টিন ট্রুডো ফ্লোর নিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রশ্নে শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
সম্মেলন শুরুর আগে মঙ্গলবার এক পার্শ্ববৈঠক আয়োজনেও যুক্তরাজ্যের সহ-উদ্যোক্তার ভূমিকায় ছিল কানাডা। কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই বৈঠকে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই এই সংকটে আক্রান্ত রোহিঙ্গাদের সমর্থনের বিষয়টি পুনরায় নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘সহিংসতায় জড়িত অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে’।
এর আগে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী বিশেষ দূত নিয়োগ দেন। ট্রুডোর দূত হিসেবে সাবেক কানাডিয়ান কূটনীতিক বব রে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর করেন। বব রে দুই দেশ সফর শেষে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের তদন্ত প্রতিবেদন তুলে দেন ট্রুডোর হাতে।
বব রে তার বলেছিলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে আগ্রহ দেখানোর পাশাপাশি তাদের জন্য মানবিক সহায়তা জোরদারে কানাডার ভূমিকা রাখা উচিত। এছাড়া রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার প্রমাণ একসাথে করে সংরক্ষণ করতে সহায়তা করারও সুপারিশ করেন বব রে। কানাডার কেন্দ্রীয় সরকার কয়েকদিনের মধ্যে ওই প্রতিবেদন বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অবস্থান জানাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।