বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনায় ভেজাল খাদ্য, ফল এবং ওষুধে বাজার ছেয়ে গেছে। প্রতিদিন মানুষ খাদ্যে বিষ খাচ্ছেন। চাউলে ভেজাল, কলায়, আপেল, কমলা, বেদেনা, গুড় এমনকি কোন কোন স্থানে নামিদামি ওষুধের মোড়কে ভোজলকারীরা ভেজাল ওষুধ বাজারে ছড়িয়ে দিয়েছে। মিনিকেট নামে দেশে কোন চাউলের বীজ নেই। বাজারে চিকন মসৃণ সাদা চাউল মিনিকেট নামে অধিক মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। মিলে মোটা চাউল কেটে চিকন করে সাদা করতে ইফরিয়া সার দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে। ইফরিয়া সার মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপর্ণ বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। দীর্ঘ দিন এই চাউলের ভাত খেলে কিডনী ড্যামেজসহ নানা জটিল রোগ ব্যাধি মানব দেহে সৃষ্টি হওয়ার সমূহ আশংকা রয়েছে। বাজার মনিটর, ভেজাল নিয়ন্ত্রণে তেমন তৎপরতা পরিলক্ষিত হয় না। ভেজাল ওষুধ এবং যৌন উত্তেজক (এই ওষুধ যে কোন সময়ে মানুষের হার্ট এ্যাটাকের কারণ হতে পারে) কোথায় কোন দোকানে বিক্রি হয় জেলা ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সেটি অজানা নয়। মাঝে মধ্যে ওষুধের দোকানে আসে তাদের লোকজনমেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ আর ধুলা-বালির কারণে সামান্য জরিমানা করে চলে যায়। এটিও করা হয় বেছে বেছে ।মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ কোম্পানী ফেরৎ নিয়ে যায়। কোন কোন সময় দেরি হয় ফেরৎ নিতে। অনেক ওষুধেরদোকানে প্যাকেট করে লেখা থাকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, বিক্রয় জন্য নহে। তাদেরকেও জরিমানা দিতে হয়। ফল মওসুমে বৈশাখে বিভিন্ন ফল-ফলাদিতে ফরমালিন দিয়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে ,দীর্ঘ দিন ধরে পাবনা শহরের এবং উপজেলা বাজারে গুঁড়ে ভোজাল দেওয়া হচ্ছে। পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বৃ-রায়নগর গ্রামে ভেজাল গুড়ঁ তৈরীর কারখানার সন্ধান পায় ভ্রাম্যমান আদালত। বৃহস্পতিবার ১৯ এপ্রিল দুপুরে ওই ভেজাল কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ওভেজাল গুড় ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বৃ-রায়নগর গ্রামের অনন্ত সরকারের ছেলে উত্তম সরকার দীর্ঘদিন ধরেনোংরা পরিবেশে ভেজাল গুড়ঁ ও লালী তৈরী এবং বাজারজাত করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরকার অসীম কুমার থানা পুলিশের সহায়তায় বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ওই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে অসাধু ব্যবসায়ী উত্তম সরকারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ভেজাল গুড় ধ্বংস করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরকার অসীম কুমার জানান, উত্তম সরকার অসাধু উপায়ে গরুর খাদ্য, মিশ্রি ও চিনি মিশিয়ে দানাদার গুড় ও লালি গুড় তৈরী করে বাজারজাত করছিল। যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এই সব ভেজালকারীরা ভেজালে জরিমানা দেয় আবার অনেকের ৬ মাসে জেল-জরিমানা হয়। তারা মুক্ত হয়ে এই কাজে আবার লিপ্ত হয়। এ ক্ষেত্রে নজদারি না থাকায় তারা নির্বিঘেœ ভেজালের কারবার করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।