মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ,ক,ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, ভারত সরকার যদি মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের সহযোগিতা না করতেন, তাহলে আমাদের স্বাধীনতা ৯ মাসে না নয়, ৯বছরেও সম্ভব হতো না। পাবনার সুজানগর উপজেলায় নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন শেষে স্থানীয় শহীদ দুলাল পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে মাঠে বৃহস্পতিবার মুক্তিযোদ্ধা ও সুধিজনদের নিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। সভাপতিত্ব করেন, সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিৎ দেবনাথ।

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি ভাবে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান চালু করা হবে। দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের একই রকম ভাবে বাসস্থান নির্মাণ করা হবে। বৃহস্পতিবার মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ,ক,ম মোজাম্মেল হক এমপি আরো বলেছেন, জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের জন্য বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার সব ধরণের কাজ করে যাচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধার চেতনায় এ দেশ চলবে, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চিকিৎসা, বাসস্থান নির্মাণ সহ সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। আগামী নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকারকে আবারো নির্বাচিত করতে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যেও মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পাবনা-২ আসনের এম.পি খন্দকার আজিজুল হক আরজু, পাবনা জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম, মাছরাঙা টেলিভিশন ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ লি ঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, , সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের রোকন, সুজানগর পৌর মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল ওহাব, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিবলী সাদিক, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিরাজুল ইসলাম শাজাহান, ও সুজানগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাই প্রমুখ।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে সুজানগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মরহুম আবুল কাশেমের কবর জিয়ারত করেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ,ক,ম মোজাম্মেল হক এমপি। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী পরে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় আজকের এই দিনে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ঐতিহাসিক ‘ডাববাগান যুদ্ধ দিবসে শহীদ মুক্তি যোদ্ধাদের স্মরণ করতে মন্ত্রী এখানে আসেন। একাত্তরের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনির সাথে মুক্তিকামী মানুষ ও ইপিআর বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
১৯ এপ্রিল/৭১ দুপুরে নগরবাড়ী ঘাট হয়ে পাক সেনারা বগুড়া যাওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে মুক্তিকামী মানুষ ও ইপিআর বাহিনীর সদস্যরা সাঁথিয়া উপজেলার ডাব বাগান বর্তমানে শহীদ নগর নামক স্থানে অবস্থান নেন। পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে প্রায় ৫০ জন পাকসেনা নিহত হয়। এই সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন ইপিআর হাবিলদার ইমদাদ আলী, ল্যান্স নায়েক আতিয়ার রহমান, সিপাহী নূর উদ্দিন অনেক মুক্তিকামী মানুষ। মন্ত্রী তাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।