Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চেনা ছন্দে নেই বার্সা

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্কোরলাইন বলছে, ম্যাচ ২-২ গোলে ড্র। কিন্তু বাস্তবে যারা সেল্টা ভিগো-বার্সেলোনার ম্যাচের সাক্ষি হয়েছেন তারাই জানেন এই ড্র ১০ জনের বার্সার জন্যে কতটা স্বস্তির ছিল। শেষ ২০ মিনিট তাদের কেটেছে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে।
এর ফলে অবশ্য লিগে বার্সার টানা অপরাজিত থাকার রেকর্ডটা বেড়ে হয়েছে ৪০ ম্যাচ। বাকি দুই ম্যাচে জিতলে শিরোপা নিশ্চিত। তার মানে ন্যু ক্যাম্পে এল ক্ল্যাসিকোয় রিয়ালকে হারিয়ে শিরোপা উদযাপনের সুযোগ আর্নেস্তো ভালভার্দের দলের সামনে।
এদিন বার্সার একাদশ ছিল একেবারেই অচেনা। বিশ্রামে ছিলেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, জেরার্ড পিকে, সার্জিও বুসকেটস, ইভান রাকিটিচরা। লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজকে রাখা হয় বেঞ্চে। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো গেল ১৬ বছরে এই প্রথম বার্সা যুবা দলের কোন খেলোয়াড় ছিল না একাদশে। এদিকে প্রতিপক্ষের নামটিও আবার সেল্টা ভিগো, যে দলের মাঠ থেকে গেল দুই মৌসুমই হেরে আসতে হয়েছে কাতালানদের। চলতি মৌসুমেও ন্যু ক্যাম্পে বার্সাকে ২-২ গোলে রুখে দেয় তারা। এরপরও যে সেখান থেকে বার্সা না হেরে ফিরতে পেরেছে এতেই স্বস্তি বোধ করতে পারেন ভালভার্দে।
একাদশে এত পরিবর্তনের ব্যখ্যাও দিয়েছেন ভালভার্দে, ‘এটা ঠিক এদিন একাদশে অনেক পরিবর্তন ছিল। খেলোয়াড়রা টানা ম্যাচের ম্যধ্যে ছিল। তাই ভেবেছিলাম এটা উপযুক্ত সময়।’ তিনি বলেন, ‘এত বেশি পরিবর্তনে অবশ্য ঝুঁকি থাকে। তবে আমরা কোপাতেও সেল্টার বিপক্ষে পরিবর্তন এনেছিলাম।’ আসল প্রসঙ্গ টেনে ভালভার্দে বলেন, ‘দেখা যাক আমাদের খেলোয়াড়রা শনিবার সমর্থকদের শিরোপা উপহার দিতে পারেন কি না।’ উল্লেখ্য, এদিন সেভিয়ার বিপক্ষে কোপা দেল রে’র ফাইনাল খেলবে বার্সা।
বেশ কদিন ধরে চেনা ছন্দে নেই বার্সেলোনা। এদিনও হতাশ করেছে ভক্তদের। দেম্বেলে-কুতিনহোর মত ব্যয়বহুল দুই তারকা ছিল আক্রমণের নেতৃত্বে। এরপরও বল দখলে সামান্য এগিয়ে থাকলেও ভয়ঙ্কর সব আক্রমণে এগিয়ে ছিল সেল্টা ভিগো। গোলরক্ষক মার্ক টার স্টেগেন অসাধারণ কিছু সেভ না দিলে পরাজয়ের মাল্যই পরতে হতো বার্সাকে।
শুরু থেকে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি আক্রমণ করে দুই দল। ২৫তম মিনিটে পোস্টে বাধা পেয়ে গোলবঞ্চিত হন পাওলিনহো। সেই বল ধরেই পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যেতে পারত সেল্টা। কিন্তু ব্রাইস মেন্দেসের শট পোস্টে বাতাস লাগিয়ে বেরিয়ে যায়। ৩৪তম মিনিটে গোল পেয়ে যায় বার্সা। পাকো আলকাসেরের বাড়ানো বল দারুণ আড়াআড়ি শটে জালে পাঠান উসমান দেম্বেলে। লা লিগায় এটি তার প্রথম গোল। বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে ভয়ঙ্কর পাল্টা আক্রমণ থেকে ম্যাক্সি গোমেসের বাড়ানো ক্রসে আলতো টোকায় স্কোরলাইনে সমতা আনেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার জনি কাস্ত্রো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে সেল্টা। ৬০তম মিনিটে কুতিনহো ও আন্দ্রে গোমেজকে তুলে নিয়ে মেসি ও সার্জি রবার্তোকে নামান ভালভার্দে। বার্সার খেলায় তখন কিছুটা প্রাণ ফিরে পায়। যার জের ধরে চতুর্থ মিনিটের মাথায় আবার লিড নেয় বার্সা। নলসন সেমেদোর ক্রস থেকে দলকে এগিয়ে নেন আলকাসের। এর ৭ মিনিটের মাথায় সার্জিও রবার্তো সরাসরি লাল কার্ড দেখলে ম্যাচের গতিপথ পাল্টে যায়। যার পূর্ণ সুফল নিয়ে ইগো আসপাসের গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। যদিও রিপ্লেতে দেখা গেছে তাত দিয়ে ঠেলেই বল জালে পাটিয়েছেন আসপাস। কিন্তু তা বেমালুম রেফারির চোখ এড়িয়ে যায়। ৯০তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লুকাস বোয়ে। দুর্দান্ত একটা ম্যাচ খেলেও জয় বঞ্চিত থাকতে হয় সেল্টা ভিগোকে।
দিনটা বার্সার জন্যে খারাপ হতে পারে, তবে টার স্টেগেনের জন্যে ছিল বিশেষ। এই প্রথম জার্মান গোলরক্ষকের বাহুতে ওঠে অধিনায়কের বন্ধনী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চেনা ছন্দে

১৯ এপ্রিল, ২০১৮
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ