Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই কোনো সমাধান নেই

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

 মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটা। ঢাকা থেকে চাপাইনবাবগঞ্জগামী রাজশাহী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা বিমান বন্দর স্টেশনে থামলো। ট্রেনের ভিতরে ও ছাদে যাত্রী আর যাত্রী। এমনকি ইঞ্জিনেও যাত্রী। দেখলে মনে হবে ঈদ সমাগত। মাত্র তিনদিন আগেও টঙ্গীতে কমিউটার ট্রেন লাইনচ্যুত হলে ছাদের যাত্রীরা লাফিয়ে পড়ে। তাতে ৭জন নিহত ও কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। তিনদিন পরে এভাবে ট্রেনের ছাদে ও ইঞ্জিনে গাদাগাদি করে যাত্রী ওঠে কিভাবে? এমন প্রশ্ন করে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে ফ্যানস ফোরাম’ নামক ফেসবুকে একজন লিখেছেন, ‘এতো মরে তবুও হুঁশ হয়না।’
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ইদানিং হাতে গোনা কয়েকটি ট্রেন ছাড়া প্রায় সবগুলো ট্রেনের ছাদে যাত্রীদের ভিড় থাকে। কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেনের ছাদে যাত্রী উঠতে দেয়া হয় না। তবে কমলাপুর পার হলেই ছাদে ওঠার আইন ¤øান হয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহী এক্সপ্রেসে গাদাগাদি করে যাত্রী ওঠার কারন হিসাবে রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, রাজশাহীগামী সিল্কসিটি লেট থাকায় ওই ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। অনেকে ট্রেনের বগিতে ঠাঁই না পেয়ে ছাদে ও ইঞ্জিনে উঠে যায়। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগির ছাদে বা ইঞ্জিনে যারা ভ্রমণ করে তাদের বেশিরভাগই টিকিট কাটে না। এজন্য ট্রেনে কর্তব্যরত পুলিশ, গার্ড ও লোকো মাস্টারকে টাকা দিয়ে তারা ভ্রমণ করে।
জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় সড়কপথে রাজশাহী যেতে এখনও ১২/১৩ ঘণ্টা সময় লাগে। রংপুর-দিনাজপুর যেতে লাগে ১৮ ঘণ্টারও বেশি। এ কারনে উত্তরাঞ্চলের যাত্রীরা বাসের চেয়ে ট্রেনে যেতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করে। যদিও দেশের সবগুলো রুটের ট্রেনেই এখন অস্বাভাবিক ভিড়। আগে ঈদের আগে ট্রেনের টিকিট ছিল সোনার হরিণ। এখন ঈদ ছাড়াই প্রতিটি ট্রেনের টিকিট সোনর হরিণ হয়ে গেছে। ট্রেনের ছাদে ও ইঞ্জিনে এভাবে ঝুঁকি নিয়ে ভ্রমণ করায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। অথচ কর্তৃপক্ষ নীরব।
রাজশাহী এক্সপ্রেসে ভিড় দেখে বাংলাদেশ রেলওয়ে ফ্যানস ফোরাম নামক ফেসবুকে বেশ কয়েকজন মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন,‘‘ ইঞ্জিনে এভাবে যাত্রী উঠলে লোকো মাস্টার সিগনাল দেখবেন কিভাবে?” আরেকজন লিখেছেন, ‘আরে বাবা কতো মানুষ লোকোতে’। একজন বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘ হায় হায় সব ইঞ্জিনের উপরে’। একজন লিখেছেন, ‘ এভাবে আর কতোদিন চলবে? এর কি কোনো সমাধান নেই?
এ প্রশ্নের জবাবে রেলওয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, যতোদিন পর্যন্ত ট্রেন বাড়ানো না যাবে, ততোদিন পর্যন্ত এর সমাধান দেয়া মুশকিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ