রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার গৌরদিয়া বাজারের আটঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের কারণে অপর গ্রুপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুর ও জবর দখল করেছে সংসদ উপনেতার পিএস শফিউদ্দিনের অনুসারীরা।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসটি নিয়ন্ত্রণ করতেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা চৌধুরীর পুত্র ও তার এপিএস আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলু মামা। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে এপিএস পদ থেকে বাবলু চৌধুরীকে অব্যহতি দেওয়া হয় এবং নতুন এপিএস হিসেবে নিয়োগ পায় শফিউদ্দিন। এ ঘটনার কারণে সালথা-নগরকান্দায় আওয়ামী লীগের মধ্যেই দুইটি গ্রুপ বিরাজমান হয়। এরই সূত্র ধরে শনিবারে বাবলু চৌধুরীর লোকজনকে বিতারিত করে আওয়ামী লীগ অফিসটি দখল নেয় শফিউদ্দিন অনুসরি হাতেম মোল্লা গংরা।
আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুরের বিষয়ে এলাকার রণগোপাল (সংসদ উপনেতার সাবেক পিএস), আটঘর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বরুন সরকার ও বাজার ব্যবসায়ী মিঠু দত্ত জানান, শনিবার সকালে হাসেম মোল্লার কিছু লোকজন এসে আওয়ামী লীগ অফিসের তালা ভেঙে কিছু কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলে এবং চেয়ারটেবিল অফিস থেকে বের করে দিয়ে ঘরটি জবর দখল করে নেয়। হাসেম মোল্লার ভয়ে ওই সময় গৌরদিয়া বাজারের কেউ কথা বলার সাহস পায়নি।
এ বিষয় হাতেম মোল্লার পুত্র মিরাজ হোসেন জানান, এই আওয়ামী লীগ অফিসের ঘরটি আমাদের ক্রয়কৃত। আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙা হয় নাই এবং জবরদখলও করা হয় নাই। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ভাড়া দেয় না বাবলু গ্রুপের লোকজন। তাই আমরা আমাদের ঘরটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আওয়ামী লীগ অফিসই করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এপিএস শফিউদ্দিনের অনুমতি স্বাপেক্ষে আওয়ামী লীগ অফিসটি আমরা দখলে নিয়েছি। এটি আওয়ামী লীগ অফিসই থাকবে। শুধু পরিবর্তন হয়েছে কয়েক ব্যক্তি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।