নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ গেমসের শ্যুটিংয়ে ব্যর্থতার ধারাাহিকতায় রয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। আগের দিন মহিলাদের ৫০ মিটার রাইফেল প্রোন ইভেন্টে চরম ব্যর্থতার পর গতকাল ফের লজ্জা দিয়েছেন শারমিন শিল্পা ও সুরাইয়া আক্তাররা। এদিন ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে এ দুই বাংলাদেশী নারী শ্যুটার বাছাই পর্ব থেকেই বাদ পড়েন। গতকাল ব্রিসবেনের বেলমন্ট শ্যুটিং সেন্টারের রেঞ্জে এ ইভেন্টের বাছাইয়ে খেলতে নেমে শিল্পা ১৬ জনের মধ্যে পান ১২তমস্থান। তিনি ৫৭০-১৯ী স্কোর করেন। সুরাইয়া ৫৭০-১৬ী পয়েন্ট করে হন ১৩তম। এ ইভেন্টের বাছাইয়ে ভারতের মাউডগিল আঞ্জুম ৫৮৯-৩২ী পয়েন্ট করে সেরা হন। ৫৮৪-৩২ী স্কোর করে দ্বিতীয়স্থান পান সিঙ্গাপুরের মার্টিনা লিন্ডসে। ভারতের তেজস্বনী শ্রাবন্ত ৫৮২-৩১ী স্কোর করে পান তৃতীয়স্থান। মেয়েদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনের বাছাই পর্ব থেকে বাংলাদেশের শিল্পা ও সুরাইয়া ছিটকে পড়লেও সেরা আটজন প্রতিযোগী চুড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নেন।
আজ একই ভেন্যুতে পুরুষদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনের বাছাই পর্বে বাংলাদেশের আব্দুল্লাহ হেল বাকি ও শোভন চৌধুরী রেঞ্জে নামবেন। এই ইভেন্টের মধ্যদিয়েই শেষ হবে বাংলাদেশ শ্যুটিং দলের এবারের কমনওয়েলথ গেমস।
অন্যদিকে গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ গেমস কুস্তি থেকে লাল-সবুজদের সেরা পুরুষ কুস্তিগীর আলী আমজাদের মতো ছিটকে পড়েছেন সেরা নারী কুস্তিগীর শিরিন সুলতানাও। তবে তিনি ফাইনাল রাউন্ডে খেলেছেন। কাল কারারা ইনডোর স্টেডিয়ামে শিরিন ফ্রি-স্টাইল ৬৮ কেজি ওজনশ্রেণীতে খেলতে নেমে প্রথম রাউন্ডে হারান কেনিয়ার লিলানা নোথিগাকে। এ পর্বে শিরিনের জয় আসে ৮-৩ পয়েন্টে। দ্বিতীয় রাউন্ডে শিরিন নাইজেরিয়ার বেøসিং উবুরুদুদু’র সামনে দাঁড়াতেই পারেননি। বেøসিং ৬-০ পয়েন্টে হারিয়ে দিলেও শিরিন ব্রোঞ্জের জন্য লড়েন ভারতের দিব্য কাকরানের সঙ্গে। যেখানে দিব্য ৪-০ পয়েন্টে জয় পেয়ে ব্রোঞ্জপদক জিতে নেন।
খেলা শেষে শিরিন ইনকিলাবকে বলেন, ‘বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়রা গোল্ড কোস্টে এসেছে নিজেদেও শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে। তাদের মতো সুযোগ-সুবিদা আমরা পাইনা। তারপরও ব্রোঞ্জের জন্য লড়াই করেছি। এটাইবা কম কিসের।’ তিনি আরো বলেন, ‘যে কোন আন্তর্জাতিক আসরে ভালো করতে হলে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী অনুশীলন ও বিদেশী কোচের। যা আমরা পাইনা। দেশে আামাদের দরকার আন্তর্জাতিকমানের কুস্তির জন্য আলাদা একটা ভেন্যুও। যেখানে সারা বছর আমরা অনুশীলন করতে পারবো। বাংলাদেশ খেলাধুলার নীতি-নির্ধারকরা যদি এসব দিকে নজর দেন তাহলে আমাদের কুস্তির উন্নতী হবেই। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আমাদেরকে নিয়ে একটু ভাবলে আমরা আগামী কমনওয়েলথ গেমসেই ভালো করতে পারবো। দেশকে এনে দেব কাঙ্খিত পদক। যা হবে বাংলাদেশের কমনওয়েলথ গেমস ইতিহাসে কুস্তির প্রথম পদক।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।