Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লড়াইয়ের মাঠে আ.লীগ বিএনপির দুই সভাপতি

খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন-২০১৮

| প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আবু হেনা মুক্তি : খুলনা সিটি কর্পোরেশনে এবার লড়াই হবে আ’লীগ মহানগর সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক ও বিএনপি মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এর সাথে। ব্যাপক জনপ্রিয় এই দুই নেতা দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একে অন্যের প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে এই প্রথম কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। হেভীওয়েট এই দুই প্রার্থীর নির্বাচন নিয়ে এখনই জল্পনা কল্পনার যেন শেষ নেই।
খুলনায় স্বাধীনতার পর রাজনৈতিক দিক দিয়ে বিএনপি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বিরোধ কখনও নোংরামীতে পরিণত হয়নি। সমঝতার মাঝেই এত কালের রাজনীতি আতিবাহিত হলেও কেসিসি নির্বাচনে দুই দলের দুই কর্ণধারের অংশগ্রহণ রীতিমত নগরবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। খুলনা সদর আসনে ২০০৮ সালে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বিএনপি’র টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আবার একই বছর মেয়র নির্বাচিত হন তালুকদার আব্দুল খালেক। যদিও বিগত নির্বাচনে (২০১৩) তিনি বিএনপি’র প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনি’র কাছে প্রায় ২৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। আর এবার সংসদ সদস্য থেকে পদত্যাগ করে ফের মেয়র নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন বিএনপি প্রার্থী মঞ্জুর সাথে। তাই এ নির্বাচন বাঘে-সিংহের লড়াই। খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে (কেসিসি) বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী দলের নগর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০১৮ এর রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলীর কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন দলের নগর শাখার সহসভাপতি ও দৌলতপুর থানা সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন। এই নিয়ে কেসিসির মেয়র পদে মোট সাতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর শাখার সহ-সভাপতি স ম আব্দুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আরিফুজ্জামান অপু, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন খোকন, শাহীনুল ইসলাম পাখি, আজিজুল হাসান দুলু, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, মাহবুব হাসান পিয়ারু প্রমুখ। এর আগে গত সোমবার রাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের সামনে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে কেসিসি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার ঘোষনা দেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার পর বিএনপি নেতা শেখ মোশাররফ হোসেন মেয়র পদে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় শুধু দলীয় নেতা-কর্মী নয়, সারা খুলনাবাসী উৎফুল্ল হয়েছে। সবার মধ্যে উচ্ছ¡াস বিরাজ করছে।’ তিনি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হবে কি না, সেটি নির্বাচন কমিশনের মাজা সোজা করে থাকা এবং সরকারের সহযোগিতার ওপরই নির্ভর করবে।’ তিনি নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানান। এদিকে, আসন্ন খুলনা সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেককে মনোনীত করায় সংসদ থেকে আগামী দু’এক দিনের মধ্যে পদত্যাগ করবেন। গত সোমবার রাতে জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি একথা জানান। তালুকদার খালেক বলেন, ‘আমি এই সংসদে ১৯৯১, ৯৬ এবং ২০০১ নির্বাচনে জয়ী হই। এরপর ২০১৪ সালে বাগেরহাট-৩ থেকে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছি। আমি ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে খুলনা সিটি কর্পোরেশনে মেয়র হিসেবে জয় লাভ করি। তবে ২০১৩ সালে জয় লাভ করতে পারিনি। পরবর্তীতে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই’। তিনি বলেন, গত রোববার আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড এবং বোর্ডের প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে খুলনা সিটি কর্পোরেশনে পুনরায় নির্বাচন করার জন্য সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আগামী ১২ এপ্রিল আমি মনোনয়ন দাখিল করব। আমাকে সংসদ সদস্য থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচন করতে হবে। আমি হয়তো দু’এক দিনের মধ্যে আপনার (স্পিকার) কাছে পদত্যাগ করবো’। এ সময় কান্নায় তার কথাগুলো আটকে যাচ্ছিলো।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আ.লীগ

১২ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ