গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
দুই বাসের চাপায় হাত হারানো কলেজছাত্র রাজীব হোসেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের প্রধান শামসুজ্জামান শাহীন জানান, মাথায় আঘাতজনিত কারণে রাজীবের নিউরোলজিক্যাল অবস্থার অবনতি ঘটেছে। এ ছাড়া শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় রাজীবকে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়েছে।
প্রতিদিনের মতো গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্র মঙ্গলবার বিআরটিসির একটি দোতলা বাসে পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। এ সময় স্বজন পরিবহনের একটি বাস তার বাসটিকে ঘেঁষে ওভারটেক করতে গেলে মাঝখানে চাপা পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তার ডান হাত। তাকে উদ্ধার করে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে পর দিন বুধবার তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। সংকটাপন্ন রাজীব এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, ১০ বছর আগে মা ও ৮ বছর আগে বাবা হারান রাজীব। এতিম দুই ভাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী বাউফল থেকে চলে আসেন ঢাকায়। ঠাঁই মেলে খালা জাহানারা বেগমের কাছে। খালা তাকে রাজধানীর পোস্ট অফিস হাইস্কুলে ক্লাস নাইনে ভর্তি করিয়ে দেন।
পরে রাজীব ভর্তি হয় সরকারি তিতুমীর কলেজের বাণিজ্য বিভাগে। তার ইচ্ছা ছিল এতিম দুই ভাইকে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তোলার। কিন্তু দুই বাসের চাপায় ডান হাত হারিয়ে এখন মৃত্যু পথযাত্রী রাজীব।
তার ছোট দুই ভাই মেহেদী হাসান (১৩) ও আবদুল্লাহ (১১) কোরআনে হাফেজ। মাদ্রাসার পাঠ চুকিয়ে হাসান সপ্তম শ্রেণীতে ও আবদুল্লাহ ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।