পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আবু হেনা মুক্তি : দলীয় প্রতীকে এই প্রথম আগামী ১৫ মে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের পঞ্চম দফা নির্বাচন। এ কারণে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনটি রাজনৈতিক অঙ্গনে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এবার হবে প্রতীকে প্রতীকে লড়াই। অর্থাৎ খুলনার দুই বাঘা নেতা লড়বে নৌকা আর ধানের শীষ নিয়ে। ইতোমধ্যে সকল জল্পনা কল্পনা ও ধূ¤্রজাল ভেদ করে কেসিসি’র নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের টিকিট পেলেন সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি। বর্তমান মেয়র মনিরুজ্জামান মনিকে দলীয় টিকিট দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে নির্বাচনী লড়াই হতে পারে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের দুই মেয়রের মধ্যে।
সূত্রমতে, নানা কারণে খুলনার সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ মহানগর সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি নির্বাচনী আগ্রহী না থাকলেও দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি এখন মেয়র প্রার্থী। গতকাল সোমবার কেসিসি’র আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক এমপির পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তার ছোট ভাই আব্দুল জলিল তালুকদার। কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. ইউনুস আলীর কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন আব্দুল জলিল তালুকদার। এনিয়ে মেয়র পদে মোট ছয়জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন। এদিকে তালুকদার আব্দুল খালেককে কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দেওয়ায় সকালে মহানগর ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল করেছে। মিছিলের নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন।
এদিকে, বিএনপি প্রার্থী চূড়ান্ত করতে গত রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠক করেন। সেখানে মেয়র পদের প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনি ও শফিকুল আলম মনার সাক্ষাতকার নেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। নগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুরও মতামত নেওয়া হয়। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠকটি শেষ হয়। তবে বিএনপির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, যে কোনো সময় সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। দলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বড় ধরনের কোনো অঘটন না ঘটলে বর্তমান মেয়র মনিরুজ্জামান মনিই পুনরায় বিএনপির মনোনয়ন পেতে পারেন।
গত ১০ বছরেরও বেশি সময়ে খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যে কোনো লড়াই হয়নি। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে খুলনা-২ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জিতেছিলেন বিএনপির প্রার্থী। গত দশ বছরে বাংলাদেশের রাজনীতির অনেক গতিপ্রকৃতি, হিসাব-নিকাশ যেমন বদলে গেছে, সেই রকম বদলে গেছে রূপসা-ভৈরব পাড়ের রাজনীতির গতিপ্রকৃতিও। দীর্ঘদিন পর আবারও দু’ প্রতীকের লড়াই হতে যাচ্ছে।
জানা গেছে, নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যে সর্বশেষ লড়াই হয়েছিলো ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। ওই নির্বাচনে সারাদেশে বিপুল আসনে জয়ী হয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। কিন্তু খুলনা-২ আসনে প্রায় ১৬শ’ ভোটের ব্যবধানে হেরে যায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে যতই দ্ব›দ্ব থাকুক না কেন মেয়র পদে প্রার্থী ঘোষণার পর সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে দলীয় প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে নামবেন দুই দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। খুলনার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা এমনই মনোভাব প্রকাশ করেছেন।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দল আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও শক্তিশালী দল। এই দলে অনেক নেতাই নির্বাচন করার যোগ্যতা রাখেন। আমরা নেত্রীর (শেখ হাসিনা) প্রতি আস্থাশীল। নেত্রী যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন আমরা তার পক্ষে এক হয়ে কাজ করবো।
খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, খুলনার মানুষ সব সময়ই বিএনপি ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রতি আস্থা রেখেছেন। ধানের শীষ হচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও মাটি-মানুষের প্রতীক। খুলনার মানুষ এবারো ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে ভুল করবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।