পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে লিজের জমি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে কেএসআরএম (কবির স্টিল রি-রোলিং মিলস) কর্তৃপক্ষ। গতকাল (সোমবার) বিকেলে নগরীর বারিক বিল্ডিং মোড়ের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে কেএসআরএম সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কারও জমি দখল কিংবা কোন শিল্প গ্রæপের সাথে কখনও বিরোধে জড়ায়নি। রেলওয়ের একখÐ জমি নিয়ে পিএইচপি ফ্যামিলির সাথে বিরোধের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কেএসআরএমের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। আইনানুগ সব পদ্ধতি অনুসরণ করে ওই জমিটি কেএসআরএম লিজ নিয়েছে। পিএইচপি গ্রæপ তাদের লিজের স্বপক্ষে রেলওয়েকে যে কাগজপত্র দাখিল করেছে তা ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। নিয়মিত খাজনা প্রদান এবং ভোগ দখল সূত্রে এই ভূমি কেএসআরএমের। সেখানে অন্য কোন পক্ষে মালিকানা বা দখল দাবি করার ভিত্তিই নেই। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কেএসআরএমের কাছে লিজ হস্তান্তরকারী স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম বলেন, পিএইচপি গ্রæপের কাছে জমি বিক্রি করিনি। রেলের জমি কারও কাছে বিক্রি করা যায় না। ভূমিটি হস্তান্তর করেছি কেএসআরএম গ্রæপকে। সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা রেল থেকে এই ভূমির লাইসেন্স অর্জন এবং খাজনা প্রদানের কাগজপত্রসহ পুরো প্রক্রিয়াটির দালিলিক প্রমাণ তুলে ধরেন।
কেএসআরএমের সিইও মেহেরুল করিম বলেন, ১৯৬৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাড়বকুÐের এই ১ দশমিক ৬৪ একর জমির বৈধ ইজারাদার ছিলেন স্থানীয় নুরুল আলম। এরপর তিনি জায়গাটির লিজ রেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কেএসআরএমকে হস্তান্তর করেন। সেই থেকে এ ভূমি তাদেরই ভোগ দখলে। তবে সেখানে কোন স্থাপনা গড়ে তোলা হয়নি। পিএইচপি গ্রæপ যে দাবি করছে তা একেবারেই অসত্য। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য চিটাগাং চেম্বারের মধ্যস্থতায় আরবিট্রেশন চলছে। আরবিট্রেশন প্রক্রিয়ায় রেলপথ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি এবং এম এ লতিফ এমপি একজন কৌঁসুলীও নিয়োগ করেছেন। দুই এমপি বর্তমানে দেশের বাইরে। ফিরলেই এ বিষয়ে বিরোধের নিষ্পত্তি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কেএসআরএম গ্রæপের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ২০১৬ পর্যন্ত এই জমির লাইসেন্স ছিল স্থানীয় নুরুল আলমের নামে। এরপর তিনি ইজারা হস্তান্তর করেন কেএসআরএম গ্রæপের কাছে, যার দালিলিক প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। মাঝে ২০০৪-২০০৫ সালে অন্য কোন পক্ষ কিভাবে ঢুকে পড়তে পারে তা আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি জানান, আরবিট্রেশনের চাহিদা অনুযায়ী আমরা সকল কাগজপত্র জমা দিয়েছি। পিএইচপি গণমাধ্যমের কাছে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএম গ্রæপের জিএম সৈয়দ নজরুল আলম।
কেএসআরএম কর্মকর্তারা বলেন, দেশের দুই বৃহৎ শিল্প গ্রæপের মধ্যে এই ধরনের বিরোধ ও পাল্টাপাল্টি বক্তব্য সম্মানজনক নয়। আমরা আশা করছি ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে। পিএইচপির জমি জোরপূর্বক দখল করা, তাদের উপর হামলা করা ও গাছ কেটে নেয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা অসত্য বলে জানান কর্মকর্তারা। তারা বলেন, ঘটনার দিন পিএইচপির কারখানা থেকেই কেএসআরএমের লোকজনের উপর হামলা হয়েছে। এ হামলায় কয়েকজন আহত হয়েছে বিষয়টি আমরা তাৎক্ষণিক থানা-পুলিশকে অবহিত করেছি। তারা বলেন, কেএসআরএমের একটি জাহাজ সোমালিয়ায় নৌদস্যুরা জিম্মি করেছিল। কর্তৃপক্ষ দ্রæত সময়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করে জাহাজটিসহ সকল জিম্মিকে উদ্ধার করে এনে মানবিকতার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা গোটা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। এমন সুনামের অধিকারী একটি প্রতিষ্ঠান এক টুকরো জমির জন্য কারও সাথে কেন বিরোধে জড়াতে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।