পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৫ থেকে ৬.৬ শতাংশ হবে বলে ধারণা করছে বিশ্বব্যাংক। সোমবার (৯ এপ্রিল) সকালে সংস্থাটির রাজধানীর শেরে বাংলা নগর কার্যালয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট ২০১৮’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
এ সময় সংস্থাটির মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, যদিও সরকার বলছে, চলতি অর্থবছরের গত ১০ মাস শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭.৬৫ শতাংশ। এ সময় সংস্থাটির ঢাকা অফিসের প্রধান চিমিয়াও ফান, জনসংযোগ কর্মকর্তা মেহরীন এ মাহবুব উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জাহিদ হোসেন আরো বলেন, তথ্য-উপাত্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা বিবিএসকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আসলে এর সমপর্যায়ে কেউ নেই। তবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে যে তথ্য দিয়েছে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ও প্রশ্ন আছে। বিবিএস সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকলেও এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না, বিষয়টা এমন নয়।
তিনি আরো বলেন, এটা ব্যতিক্রমী প্রবৃদ্ধি। আগামীতে এ নিয়ে ঝুঁকি দেখা দেবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়লেও সেভাবে কর্মসংস্থান বাড়েনি। চলতি বছরে শহরগুলোতে ৩ লাখ দরিদ্র মানুষ বেড়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির সঙ্গে দারিদ্র্য বিমোচন যেভাবে হওয়ার কথা তা হয়নি।
জাহিদ হোসেন বলেন, বছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৫ অথবা ৬.৬ শতাংশ। আমাদের আয়ের প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৭ এবং কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ২ শতাংশ। আয় ও কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধির চিত্র যদি এমন হয়, তবে বছর শেষে সাড়ে ৬ শতাংশের বেশি হবে না।
প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরের (২০১৭-১৮) ১০ মাসে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭.৬৫ শতাংশ হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৫২ ডলার। বিগত অর্থবছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.২৮ এবং মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৬১০ ডলার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।