বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝিনাইদহে আলী হোসেন (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। নার্সের দেওয়া ভুল ইনজেকশনে সে মারা যায় বলে স্বজনদের অভিযোগ। এ ঘটনার পর রোববার সকালে ঝিনাইদহের উপ-শহরপাড়ায় অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল ভাংচুর করে রোগীর স্বজনরা। এ সময় ক্লিনিকে থাকা অন্য রোগীরা ভয় ও আতংকে পালিয়ে যায়। ক্ষুব্ধ রোগীর স্বজনরা ক্লিনিকে ডাক্তারদের চেম্বারসহ গ্লাসের জানালা দরজা ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এ সময় ক্লিনিকের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা আতংকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অপচিকিৎসার শিকার আলী হোসেন ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্র ও পৌর এলাকার খাজুরা গ্রামের নাজির উদ্দীনের ছেলে। তার বাবা শহরের মুন্সি মার্কেটের বোতাম ঘরের মালিক। রোগীর স্বজন জাহিদুর রহমান জানান, গত ৫ এপ্রিল স্কুল ছাত্র আলী হোসেন এ্যপেনডিক্স অপারেশনের জন্য ক্লিনিকে ভর্তি হয়। সাতক্ষিরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালের প্র্যাকটিশনার ডা. মোজাম্মেল হক এই অপারেশন করেন। তিনি অভিযোগ করেন, অপারেশনের পর রোগীর অবস্থা ভালই ছিল। রোববার ভোরের দিকে দায়িত্বরত নার্স ইনজেকশন পুশ করার পর সুস্থ থাকা আলী হোসেন অনেকটা ছটফট করতে করতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তিনি বলেন, ভুল চিকিৎসা ছাড়া এ্যপেনডিক্স অপারেশনে রোগী মৃত্যুর নজীর নেই। রোগীর আরেক স্বজন সাইদ লস্কার অভিযোগ করেন, ইতিপূর্বে ডাক্তার ও নার্সদের ভুল চিকিসায় হরিণাকুন্ডর মথুরাপুর গ্রামের শাহানাজ ও মোকিমপুর গ্রামের মতলেব মৃত্যুবরণ করেন। রুবায়েত শিরিন নামে এক নারী অভিযোগ করেন, তার বোনের ছেলেকে নার্স ভুল ইনজেকশন দেওয়ার কারণে মৃত্যু মুখে পতিত হয়। পরে তাকে কুষ্টিয়ায় রেফার্ড করা হয়। ওই ক্লিনিকে নার্সদের চরম গাফলতি আছে বলেও শিরিনের অভিযোগ। এ ব্যাপারে ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালের ম্যানেজার ফরিদুল হুদা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ডাক্তার ও নার্সদের চিকিৎসায় কোন ত্রুটি ছিল না। আমরা সাধ্য মতো আলী হোসেনকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই ফজলুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রোগীর স্বজনরা এখনো কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।