রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় এক মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টার ঘটনায় করা মামলা তুলে নিতে আসামীপক্ষের লোকজন বাদীর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার বাদী বলছেন, আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদেরকে ধরছে না।
জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলার বটতলী গ্রামের হলুদিয়াপাড়ার নাছিমা বেগম ও তার স্বামী গত ১ এপ্রিল রাত পৌণে দুইটায় মাহিন্দ্রা যোগে শহর থেকে এসে কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেক এলাকায় নামেন। সেখান থেকে সিএনজি করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে কিছু বখাটে লোক তাদের লক্ষ্য করে পিছু নেয়। পথিমধ্যে সিএনজি গাড়িটির গতিরোধ করতে বারবার চেষ্টা করে তারা। শেষতক দৌলতপুর কেইপিজেড রাস্তার মাথা এলাকায় সিএনজি গাড়িটি আটকিয়ে নাছিমার স্বামী নুরুল আমিনকে মারধর করে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে নাছিমাকে নিয়ে যায়। এ সময় ওই মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হলে তার শোর-চিৎকারে সন্দেহ হয় ফকিরনীরহাটে টহলরত পুলিশের। পরে পুলিশ ওই গাড়ি লক্ষ্য করে ছুটে গিয়ে মইজ্জ্যারটেক এলাকা থেকে নাছিমাকে উদ্ধার করে। এ সময় শিকলবাহা গ্রামের মৃত কবির আহমদের পুত্র মো.মহিউদ্দিনকে (২৫) পুলিশ আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে আসামী করে কর্ণফুলী থানায় মামলা করেন নাছিমা বেগম। অন্য আসামীরা হলেন,মৃত লেদু মিয়ার পুত্র ইমন (২৮),শুক্কুর আহমদের পুত্র আরিফ (২৯),মৃত ইউসুফের পুত্র হোসেন (২৯), তোয়ান আলীর পুত্র আজম (২৫) ও মো.হৃদয় (২২)। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা গ্রামে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে কর্ণফুলী থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুল মতিন ইনকিলাবকে বলেন,মামলা তদন্তের পাশাপাশি পুলিশ আসামীদের খুঁজছে। আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।