বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার একদিকে দেশের সর্বশেষ প্রাকৃতি বন বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবর ধ্বংস নিশ্চিত করার মতো দূরত্বে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। অন্যদিকে দেশ বিদেশে টেকসই উন্নয়নের অঙ্গিকার করছে। বন ও পরিবেশ রক্ষায় আন্তর্জাতিক চুক্তিতে সই করছে। গতকাল এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সুন্দরবন রক্ষার নামে ব্যয়বহুল নানা প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে সুন্দরবন রক্ষার কোনো কনসালটেন্ট অর্থ ও প্রকল্পের দরকার নেই। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী সীমাহীন লোভ পুরণে দানবের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। না হলে সুন্দরবন নিজেই নিজেকে রক্ষা করতে পারতো। সরকার সুন্দরবন ধ্বংসের দাবনকে প্রতিহত না করে বরং তাদের পৃষ্টপোষকতা দিচ্ছে। অথচ সুন্দরবন ধ্বংস মানে শুধু দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় নয়; প্রতিটি মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া। প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে লাখ লাখ মানুষকে মৃত্যুর মুখে পতিত করা। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে ব্যয়বহুল প্রাণবিনাশী ঋণনির্ভর দুর্নীতিমুখী বিভিন্ন চুক্তি করছে। যেসব প্রকল্প দেশকে বিপর্যন্ত করে তাকে উন্নয়ন বলে না। কোনো রকম জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা এড়াতে ২০১০ সালে প্রণীত দায়মুক্তি আইনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি উন্নয়নের নামে সুন্দরবনধ্বংসী তৎপরতা এবং দায়মুক্তি আইনের অধীনে নানা প্রকল্প নিয়ে দেশকে অচিন্তনীয় বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেবেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।