পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর গুলিস্তানে সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটে ফের নকশাবহির্ভূত শতাধিক দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে দোকান প্রতি তোলা হয়েছে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতার নাম ভাঙিয়ে ২০ নং ওয়ার্ড যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা মো. শাহাবুদ্দিন, দোকান মালিক সমিতির নেতা ফিরোজ আলম ওরফে লাদেন ফিরোজ এসব দোকান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভাড়া এবং বিক্রি করছে। এ ব্যাপারে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অবগত থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। ডিএসসিসির মালিকানাধীন ওই মার্কেটে গত বছরের ডিসেম্বরে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানে তখন প্রায় সাড়ে ৭০০ নকশাবহির্ভূত দোকান ভেঙে দেয়া হয়েছিল। এর মাসখানেক পরেই ধীরে ধীরে মার্কেটটিতে নকশাবহির্ভূত দোকান তৈরির কাজ শুরু হয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মার্কেট কমিটির কথিত নেতা ফিরোজ আলম বা লাদেন ফিরোজ এবং ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের যোগসাজসেই দোকানগুলো আবার তোলা হচ্ছে। ফিরোজ আলমকে স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাহাবুদ্দিন ও আওয়ামী লীগের দুই নেতা প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। মার্কেটে লাদেন ফিরোজের সহযোগী হিসেবে আরো রয়েছে, শাহআলম চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান, মনির, সাজু, রহিম প্রমুখ। মার্কেট থেকে প্রতিমাসে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি। এমনকি করপোরেশন থেকে দোকানগুলোর বৈধতা এনে দেওয়ার কথা বলেও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হচ্ছে। লকডাউনের মধ্যে যখন মার্কেট বন্ধ ছিল, তখন পুরোদমে দোকান নির্মাণের কাজ চলেছে।
মার্কেটটির বৈধ দোকানিরা জানান, এই মার্কেটে এখন অবৈধ দোকান তৈরির মহোৎসব চলছে। বিষয়টি সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে তারা কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।
গত মে সরেজমিনে দেখা যায়, মার্কেটের নিচ তলা থেকে চারতলা পর্যন্ত শতাধিক দোকান নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। কিছু দোকানের কাজ অর্ধেক করে রাখা হয়েছে। শাটার লাগানো হয়নি। ইতোমধ্যে কয়েকটি দোকানে পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। পাঁচতলায় দোকান তৈরি করা না হলেও তারা তা গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করছেন। তবে পার্কিংয়ে যেসব দোকান ভেঙে ফেলা হয়েছিল, সেখানে নতুন করে কোনো দোকান নির্মাণ করা হয়নি।
সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটের দোকানিরা জানান, উচ্ছেদ অভিযানের আগে ভূয়া কাগজ তৈরি করে যারা নকশাবহির্ভূত দোকান তৈরি করে ব্যবসা করছিলেন, তারাই এখন নতুন করে দোকান তৈরি করে দখল নিচ্ছেন। এক্ষেত্রে প্রতিটি দোকান থেকে গড়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট কারবারিকে দিতে হচ্ছে। এই হিসেবে ১০০ দোকান থেকে এক কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। ডিএসসিসির মার্কেটটি পড়েছে ৩৪ নং ওয়ার্ডে। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মামুন জানান, সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে অভিযানের পর ভেঙে দেওয়া সব দোকান আবার নির্মাণ করা হচ্ছে। মার্কেট কমিটির নেতারা বিভিন্ন জনের নাম ব্যবহার করে এসব করেছেন। বিষয়টি মেয়রকে জানিয়েছি। লকডাউনের কারণে সেখানে উচ্ছেদ করা যায়নি। লকডাউন চলে গেলে আবার উচ্ছেদ করা হবে।
ডিএসসিসির বাজার শাখার প্রকৌশলীরা জানান, ওই দোকানগুলো মার্কেটের হাঁটাচলার জায়গা, বারান্দা, টয়লেট, লিফটের জায়গায় তৈরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা দুইবার ওই মার্কেট পরিদর্শন করেছেন। উচ্ছেদের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রতিবেদন দিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত উচ্ছেদের কোনো উদ্যোগ নেই।
ডিএসসিসি মালিকানাধীন স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি দেখভাল করে সংস্থাটির সম্পত্তি বিভাগ। জানতে চাইলে প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন জানান, ওই মার্কেটে নতুন করে যেসব দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলো ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে উচ্চতর অভিযান চালাতে গেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ সদস্যের দরকার। চলমান লকডাউনে সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পুলিশ ব্যস্ত রয়েছে। লকডাউনের পরপরই ওই মার্কেটে অভিযান চালানো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।