বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও নিয়োগবাণিজ্যসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে সরকার দলীয় শেরপুর-১ আসনের এমপি এবং জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিককে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো নোটিশে আগামী ১৭ এপ্রিল সকাল ১০টায় তাকে দুদকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন। আতিউর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নামে বেনামে শতকোটি টাকা অর্জন, নিয়োগ বাণিজ্য, টিআর কাবিখা এবং স্কুল কলেজের এমপিও থেকে মোটা অঙ্কের টাকা অর্জনসহ বিভিন্ন দুর্নীতি করেছেন।
দুদকের উপপরিচালক কে এম মেসবাহ উদ্দিনের সই করা নোটিশে বলা হয়েছে, আতিউর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে তিনআনি বাজারে বিলাসবহুল বাড়ি ক্রয়, গ্রামে ৩০ একর জমিতে বাগানবাড়ি তৈরি, ঢাকার বসুন্ধরা ও বনশ্রীতে দুটি প্লট, ধানমন্ডি ও গুলশানে দুটি ফ্ল্যাটসহ নামে বেনামে শত কোটি টাকা অর্জন, নিয়োগবাণিজ্য, টিআর-কাবিখা, স্কুল-কলেজের এমপিওভূক্তি থেকে মোটা অংকের টাকা অর্জনসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
বিকাশ, রকেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে দুদক : মুদ্রাপাচারসহ আর্থিক অনিয়মের একাধিক অভিযোগে ঈমাবাইলে আর্থিক সেবাদাতা বিকাশ ও রকেটের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য শুনতে বৃহস্পতিবার নোটিস পাঠিয়ে দুই কোম্পানির সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তাকে দুদকের তলব করা হয়েছে। এই দুই কর্মকর্তা হলেন- বিকাশ লিমিটেডের রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবীর ও ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের এসএভিপি অ্যান্ড হেড অব এফআইডি সাইফুল আলম মো. কবির। অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. মাহমুদ হাসানের সই করা নোটিসে হুমায়ুনকে ১২ এপ্রিল এবং সাইফুলকে ১৫ এপ্রিল সকাল ১০টায় দুদকের কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। নোটিসে এই দুই কোম্পানির বিরুদ্ধে নীতিমালা লঙ্ঘন করে ঘুষ লেনদেন, মুদ্রাপাচার, ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসা এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অর্থ লেনদেনের’ অভিযোগের কথা বলা হয়েছে। একই ধরনের অভিযোগে এসএ পরিবহন, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস ও কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসকে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র দুদকে পাঠাতে বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।