নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কমনওয়েলথ গেমসে কোচ কাম ম্যানেজার কাজী আব্দুল মান্নানের কান্ডজ্ঞানহীনতায় না খেলেই আজ দেশে ফিরে আসছে বাংলাদেশ বক্সিং দল। ফলে স্বপ্নভঙ্গ হলো লাল-সবুজের দুই বক্সার মো: রবিন মিয়া ও আল-আমিনের। তাদের আর গোল্ড কোস্টের রিংয়ে নামা হলো না।
গতকালই রিংয়ে নামার কথা ছিল এই বক্সারদের। সাগর পারের শহরটিতে এসে সবার মন ভালো হয়ে গেলেও বেদনা নিয়েই দেশে ফিরছেন তারা। কমনওয়েলথ গেমস বক্সিংয়ের ৬০ কেজি ওজনশ্রেণীতে রবিন মিয়ার এবং ৬৪ কেজিতে আল-আমিনের খেলার কথা থাকলেও মান্নানের দায়িত্বহীনতায় সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলেন বক্সাররা। গত ৪ এপ্রিল গেমসের উদ্বোধনী দিন বক্সিংয়ের টেকনিক্যাল কমিটির সভায় উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের মান্নানের। কিন্তু তিনি সেখানে যাননি। প্রত্যেক ডিসিপ্লিনের খেলা শুরুর আগে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় অংশগ্রহণকারী দেশের টেকনিক্যাল সদস্য উপস্থিত থেকে খেলায় তার দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেন। এটাই নিয়ম। কিন্তু সভায় উপস্থিত হননি বাংলাদেশ বক্সিং দলের কোচ কাম ম্যানেজার মান্নান। তার এই কান্ডজ্ঞানহীন কাজে হতবাগ আয়োজক কর্মকতারা। ফলে স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে যায় রবিন-আল আমিনদের।
বিষয়টি গোল্ড কোস্টে উপস্থিত থাকা বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা দায়ী করেন মান্নানকে। এ প্রসঙ্গে তাদেও বক্তব্য,‘টেকনিক্যাল সভায় সাধারণত দলের কোচের উপস্থিত থাকার কথা। সভাটি ৪ এপ্রিল সকালে থাকলেও মান্নান যান বিকালে। অথচ কখন, কোথায় এ সভা হবে তার সব কিছুই দেয়া ছিল টেকনিক্যাল গাইডে। কিন্তু মান্নান তা নজওে আনেন নি। ফলে সভায়ও যোগ দিতে পারেননি। তার এহেন কর্মকান্ড বাংলাদেশকে বিবৃত অবস্থায় ফেলেছে। যার সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব এই কোচের।’
তবে কমনওয়েলথ গেমস বক্সিংয়ে বাংলাদেশ দল অংশ নিতে না পারার জন্য মান্নান দায়ী হলেও এখনি তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিওএ। তারা দল দেশে ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রসঙ্গেক্রমে বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজার আশিকুর রহমান মিকু জানান, তার কাছে (কোচ মান্নান) এসএমএস এসেছিল। সম্ভবত তিনি তা বুঝেননি। গতকাল মিকু বলেন, ‘কারণ যাই হোক না কেন সেই সভায় মান্নানের উপস্থিত থাকা উচিত ছিল। যেহেতু তিনি মিস করেছেন তাই দোষ তারই।’ তি নি আরো বলেন, ‘মান্নানের বিরুদ্ধে এখনি কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। সবাই ঢাকায় ফিরুক। তারপর সেফ দ্য মিশন কি রিপোর্ট দেন তার ওপর আলোচনা করে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
বক্সিংয়ের অভিজ্ঞ কোচ হয়েও মান্নান কি করে তিনি এত বড় ভুল করলেন- তা কেউ ভেবেই পাচ্ছেন না।
কমনওয়েলথ গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরুর আগেই এই খবর বাংলাদেশ শিবিরে পৌঁছে যায়। দুই বক্সারের মত হতাশা নেমে আসে অন্যদের মাঝেও। শেষ পর্যন্ত নানাভাবে চেষ্টা করেন গোল্ড কোস্টে উপস্থিত বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। তিনি ব্যাপারটি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করেও ব্যর্থ হন। আয়োজকরা কোনভাবেই বাংলাদেশকে বক্সিংয়ে অংশ নেয়ার অনুমতি না দেয়ায় মান্নান কান্ডে সাগরসম বেদনা মনে ধারন করে দেশে ফিরছেন রবিন ও আল -আমিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।