Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কেন স্থায়ী হচ্ছে না বিদেশী কোচ?

বিদায় বললেন অ্যান্ড্রু ওর্ডও

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অ্যান্ড্রু ওর্ড। জানা গেছে, থাইল্যান্ডের একটি ফুটবল ক্লাব এয়ারফোর্স সেন্ট্রালে যোগ দিয়েছেন এই ইংলিশ-অস্ট্রেলিয়ান কোচ।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাথে জুনের ৬ তারিখ পর্যন্ত চুক্তি ছিল ওর্ডের। তবে মেয়াদ শেষ হবার প্রায় ২ মাস আগে গেলপরশু হঠাৎ করে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। মূলত পারিবারিক কারণ দেখিয়েই বিদায় নিয়েছেন অ্যান্ড্রু ওর্ড। ফুটবল ফেডারেশনকে জানানোর পর জাতীয় দল ব্যাবস্থাপনা কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, তাকে আর ধরে রাখা হচ্ছে না। এরপর ওর্ডকে ছাড়পত্র দেয় বাফুফে। ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘ওর্ড যেহেতু পারিবিারিক কারণ দেখিয়েছেন, বোঝাই যায় তিনি বাইরে কোথাও সুবিধাজনক কোনো প্রস্তাব পেয়েছেন। তাই তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেডারেশন।’ তবে যাবার আগে একটি বড় প্রশ্ন ঠিকই রেখে গেলেন ওর্ড। কেন বিদেশী কোচরা স্থায়ী হচ্ছেন না বাংলাদেশে?
২০১৩ সালে বাংলাদেশ দলের কোচ ছিলেন ডাচ লোডউইক ডি ক্রুইফ। এরপর ২০১৫ সালে অল্প কিছু সময়ের জন্য দায়িত্ব নেন ইতালির গঞ্জালো সানচেজ মোরেনো। সে বছরই পুনরায় বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব নেন ডি ক্রুইফ কিন্তু বেশিদিন ছিলেন না। সেবছর ২৯ শে জুন বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব নেন বেলজিয়ান টম সেইন্টফিট। অর্থ্যাৎ এক বছরেই তিনজন কোচের অধীনে খেলেছে বাংলাদেশ। এরপর অ্যান্ড্রু ওর্ড ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে দায়িত্ব নিয়ে এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন।
বাংলাদেশে কোচরা এত কম সময় কেন থাকে এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ কোচ মারুফুল হক বলেন, বাংলাদেশের ফুটবলারদের মান নিয়ে অসন্তুষ্টি এক্ষেত্রে বড় কারণ। এছাড়া ফেডারেশনের সাথে দর কষাকষিও বড় কারণ হতে পারে, ‘কোচ কাজ করে ফুটবলারদের সঙ্গে। একটা কোচের নিজস্ব দর্শন থাকে, সেটাই অনুশীলনে প্রয়োগ করে থাকে। মাঠে সেটাই চান কোচরা। কিন্তু আমাদের ফুটবলার এই লেভেলে পারফর্ম করার মত না। তাই কোচরা দমে যান প্রায়ই। এখানে ভাল কোচ বা খারাপ কোচ বলে কথা না।’
মারুফুল হক বলেন, কোচ ফুটবলারদের থেকে যেটা চান সেটা না পেলে হতাশ হয়ে পড়েন। তবে সরাসরি ফুটবলারদের দোষারোপ করছেন না মারুফুল। তিনি বলেন, ‘এখানে সিস্টেমটাই এমন যে একজন ফুটবলার যথেষ্ট প্রশিক্ষণ এবং যথার্থ প্রস্তুতি ছাড়াই নেহাত খেলতে খেলতে জাতীয় দলে ঢুকে পড়েন। যেটা একেবারে শুরুতেই শেখার কথা সেটা জাতীয় দলে শেখানো কঠিন। ৯ থেকে ১২ বছর বয়সেই ফুটবলের সেই দীক্ষাগুলো পাওয়ার কথা একজন ফুটবলারের।’
সে কারণে কোচদের অর্থনৈতিক চাহিদার চেয়ে ফুটবলারদের সাথে মানিয়ে নেয়ার ব্যর্থতাকেই বড় করে দেখছেন মারুফুল হক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ