গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন বীরপ্রতীক হামিদুল হক। আজ বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) ভোর সোয়া ৪টায় রাজধানী মালিবাগে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে (ইন্না লিল্লাহে... রাজিউন)। বীরপ্রতীক হামিদুল হকের ছেলে ওবাইদুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের প্রধান নির্বাহী (সিইও) প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওবাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বাবা ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। সকালে আমরা বাবার লাশ নিয়ে বাড়ির পথে রওনা হয়েছি।’
এর আগে, গত ২৭ মার্চ ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয় হামিদুল হককে। তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ও ফুসফুসের বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। ভর্তির পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে গত ১ এপ্রিল আইসিইউতে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা।
ডা. এম এ আজিজ বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরেই তার রক্তচাপ বাড়ছিল না। আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।’
মুক্তিযুদ্ধে সাহস ও বীরত্বের জন্য হামিদুল হককে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়। ১৯৭৩ সালের সরকারি গেজেট অনুযায়ী তার বীরত্বভূষণ নম্বর ৪২২।
১৯৯০ সালে সখীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন বীরপ্রতীক হামিদুল হক। সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ভাড়া বাসায় সপরিবারে থাকতেন তিনি। মৃত্যুর সময় তিনি স্ত্রী রোমেচা বেগম এবং চার ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।