Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১০৩ জন হজযাত্রীর ভাগ্যে নিবন্ধন জোটেনি

জামিলা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস (৯১২) প্রতারণা !

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

প্রতারণার শিকার ১শ’৩ জন প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীর ভাগ্যে চূড়ান্ত নিবন্ধন জোটেনি। চলতি বছর এসব হজযাত্রী’র হজে যাওয়ার বিষয়টি অনিশ্চয়তার দিকে গড়াচ্ছে। বেসরকারী হজ এজেন্সি এম জামিলা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের (৯১২)-এর মাধ্যমে এসব হজযাত্রী’র প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পল্টন থানায় গত ৩ এপ্রিল একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেছেন খুলনার গ্রæপ লিডার মো: ইব্রাহিম শেখ। ডায়েরী নং-২০৫ (০৩-৪-১৮)। তার ৬২ জন প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীর ১ লাখ ৩৮ হাজার ১শ’ ৯১ টাকা হারে এলিফ্যান্ট রোডস্থ প্রিমিয়ার ব্যাংকের এম জামিলা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের একাউন্টে ৮৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা চূড়ান্ত নিবন্ধনের জন্য জমা দেয়া হয়। ঐ দিন জামিলা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী নওরীন সুলতানা সুমী ও তার স্বামী মো: টিপুসুলতান গ্রæপ লিডার ইব্রাহিম শেখের কাছ থেকে একটি বøাঙ্ক চেক (চেক নং- বি ০৯৫২৭০৪) চাপের মুখে নিয়ে নেয়। উক্ত ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে যোগসাজস করে এসব হজযাত্রীর নিবন্ধনের ভাউচার বের করা হয়নি। এতে কোটার বাইরে পড়ে যায় এসব হজযাত্রী। পরে ব্যাংক এসব হজযাত্রীর টাকা বøক করে দেয়। সাতক্ষীরার গ্রæপ লিডার দিদারুল ইসলামও ৩৮জন হজযাত্রীর নিবন্ধনের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। ৫৫, পুরানা পল্টন গ্র্যান্ড আজাদ সেন্টারের ৯ম তলায় জামিলা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের ঠিকানা ব্যবহার করা হলে গতকাল সেখানে গিয়ে এম জামিলা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের কোনো অফিসের হদিস পাওয়া যায়নি। আদ-দ্বীন ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলস(৪০৫)-এর স্বত্বাধিকারী প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক ইনকিলাবকে বলেন, জামিলা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস নামের কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা চলতি বছরের ইংরেজী বার্ষিক ক্যালেন্ডারে আদ-দ্বীন ইন্টারন্যাশনালের নাম ছাপিয়ে চরম প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। এম জামিলা ট্যুরসের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলেও প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক জানান। 

রাতে জামিলা ট্যুরসের স্বত্বাধিকারী নওরীন সুলতানা সুমীর স্বামী টিপু সুলতান ইনকিলাবকে বলেন, আমার মধ্যে কোনো ছলচাতুরি নেই। গ্রæপ লিডার ইব্রাহিম শেখ গত বছর আমাকে হাজী দিয়ে নাকানি চুবানি খাইয়েছে। তার কাছে টাকা পাওনা আছি। সে তার ক্ষতি করার জন্য হাই কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিল। বøাঙ্ক চেক নেয়ার অভিযোগটি অস্বীকার করেন। গ্রæপ লিডার দিদারুলও ৩৮ জন হজযাত্রীর মাত্র দুই লাখ টাকা দিয়েছে। বাকি টাকা না দেয়ায় নিবন্ধন হয়নি। নিবন্ধন থেকে বাদ পড়া এসব সকল হজযাত্রী চলতি বছর পুনরায় নিবন্ধনের মাধ্যমে হজে যেতে পারবে বলেও সে দাবী করেন। এ ব্যাপারে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশ্বাস দিয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তার কোনো অফিস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি উত্তরায় ও হাজী ক্যাম্পের পার্শ্বে জামিলা ট্যুরসের অফিস করছি। তিনি হজযাত্রীদের টাকা নিয়ে পালিয়ে যাননি এবং হজযাত্রীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলেও দাবী করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হজযাত্রীর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ