Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্প্রীতি ফেরাতে মরিয়া ইমাম রশিদি

গুজবের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে শান্তির পক্ষে মিছিল আসানসোলে

| প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : আপাতভাবে শান্ত আসানসোলে স¤প্রীতি ফেরাতে ধারাবাহিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন পুত্রহারা ইমাম মাওলানা ইমদাদুল রশিদি। এরইমধ্যে সেখানে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে বলে খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টাইমস। শান্তির পক্ষে ইমাম রশিদির অভাবনীয় ভূমিকা সা¤প্রদায়িক উত্তেজনা আপাতভাবে থামিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। স¤প্রীতি ফেরাতে উভয় স¤প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধ মিছিলও হয়েছে সেখানে। তা সত্তে¡ও নতুন উত্তেজনার আশঙ্কা ফুরিয়ে যায়নি। এখনও গুজবের মধ্য দিয়ে ছড়ানো হচ্ছে ঘৃণার বিষ। তাই আবার হিংসার আগুন জ্বলে উঠবে না বলে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাওলানা রশিদি তা-ই জানিয়েছেন, স¤প্রীতির পক্ষের মানুষদের সঙ্গে নিয়ে গুজবের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। তার অনুপ্রেরণায় এরইমধ্যে শান্তির পক্ষে আসানসোলবাসীর জোটবদ্ধ হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের হিন্দুবাড়ি পাহারায় নিয়োজিত হওয়ার খবর দিয়েছে ডেইলি নিউজ অ্যান্ড এনালাইসিস। হিন্দু উপাসনালয় সুরক্ষার কাজেও মুসলিমদের নিয়োজিত থাকার খবর দিয়েছে তারা। অপর দিকে, ১৪৪ ধারা উঠে যাওয়ার পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের আসানসোলে শান্তির পক্ষে মিছিল করেছে সেখানকার মানুষ। ইন্ডিয়া টাইমস খবর দিয়েছে, ক্রমেই স্বাভাবিক হয়ে আসছে সেখানকার পরিস্থিতি। ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তাদের নিজস্ব ক্ষমতাবলে এক মাসের মধ্যে সা¤প্রদায়িক উত্তেজনার কারণ জানাতে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের স্বতঃপ্রণোদিত নির্দেশনা দিয়েছে। ২৫ মার্চ রাম নবমীর মিছিল থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সা¤প্রদায়িক উত্তেজনার বিষ ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজনার মধ্যে নিখোঁজ হন আসানসোলের নুরানি মসজিদের ইমাম রশিদির ১৬ বছর বয়সী এসএসসি পরীক্ষার্থী সন্তান সিবতুল্লাহ রশিদি। একদিন পর তার লাশের সন্ধান মেলে। মঙ্গলবার সা¤প্রদায়িক উত্তেজনার সময় জারিকৃত ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়। ওই আদেশ প্রত্যাহারের পর রামকৃষ্ণ মোড় থেকে হাটন রোড পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় শান্তির পক্ষের মিছিল। বাম রাজনৈতিক দলগুলোর আয়োজনে এই মিছিলে হিন্দু-মুসলমান উভয় স¤প্রদায়ের মানুষ যোগ দেয়। পুত্রের জানাযার সময় আসানসোলবাসীর কাছে শান্তির আহŸান জানান ইমাম রশিদি। তিনি বলেন, ‘কোনও প্রতিহিংসা নয়। প্রতিশোধ নিতে যদি কারোর মৃত্যু ঘটাও, তাহলে আমি এই শহর ছেড়ে চলে যাবো। আমি তোমাদের সঙ্গে ৩০ বছর ধরে আছি,আমাকে যদি তোমরা ভালোবাসো তাহলে আর কাউকে যেন এভাবে মরতে না হয়।’ আসানসোল ও রানীগঞ্জের সহিংসতাকে আমলে নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এক মাসের মধ্যে এর কারণ জানানোর নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ মহাপরিদর্শককে এই সহিংসতার বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার কমিশন থেকে পাঠানো নোটিশে সহিংসতা কবলিত এলাকার পুলিশের সাহায্য চেয়ে না পাওয়ার অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলে এর কারণ জানানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এনডিটিভি, এবিপি।



 

Show all comments
  • মুইন ৫ এপ্রিল, ২০১৮, ৩:২০ পিএম says : 0
    একেই বলে সাম‍্যের প্রতীক।সত‍্য ও ন‍্যায় এদের মধ্যে ভাস‍্যমান।" প্রতিশোধ নয় , ভালো বাসা " যাদের শ্লোগান । তাঁরাই এযুগের মহামানব।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইমাম রশিদি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ