মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে সেনা সরিয়ে মেক্সিকো সীমান্তে মোতায়েন করার কথা বলেছেন। বাল্টিক দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এসময় ট্রাম্প জানান, তিনি বিষয়টি নিয়ে শিগগিরি প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং মেক্সিকো সীমান্তে সেনা পাঠানো হবে। যতক্ষণ ওই সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ না করা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত সেখানে মার্কিন সেনা মোতায়েন থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ট্রাম্প জানান, সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে তিনি আগ্রহী। মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে আমেরিকায় লোকজন আসা অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এজন্য তিনি মেক্সিকো সরকারকে দায়ী করেন। দক্ষিণের এ প্রতিবেশীর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নাফটা সইয়ের বিষয়েও নিজের অসন্তুষ্টির কথা জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর আগে তিনি এ চুক্তি বাতিলের কথা বলেছিলেন। অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা ফিরিয়ে নিতে চাইলেও ভিন্ন মত প্রকাশ করেছে পেন্টাগন ও পররাষ্ট্র দপ্তর। পেন্টাগন ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ ইস্যুতে সম্পূর্ণ ভিন্ন নীতি নিয়েছেন। তারা বলছেন, সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের মিশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেনা ফিরিয়ে নেয়া হবে না। গত মঙ্গলবার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির একটি ফোরামে দেয়া বক্তৃতায় মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডের প্রধান জেনারেল জোসেফ ভোটেল বলেন, “যদিও উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কবল থেকে ইরাক ও সিরিয়ার শতকরা ৯০ শতাংশ ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে, তারপরও সেখানে মার্কিন সেনা উপস্থিতির দরকার রয়েছে।” ভোটেল বলেন, “এখনো এমন কিছু এলাকা রয়েছে সেখানে আইএসের উপস্থিতি ও তৎপরতা রয়েছে। জেনারেল ভোটেলের পাশাপাশি পররাষ্ট্র দপ্তরের শীর্ষ দূত ব্রেট ম্যাকগুর্ক বলেন, “আইএস এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আমরা সিরিয়ায় গিয়েছি আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। কিন্তু আমাদের মিশন এখনো শেষ হয়নি।” ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মেক্সিকোকে বলেছি, তারা যা করছে তার প্রতি আমি শ্রদ্ধা রাখি। আমি বলেছি, দেখ তোমাদের আইন খুব ক্ষমতাশালী, তোমাদের আইন খুব শক্ত। আমাদের সীমান্ত সুরক্ষায় যে আইন আছে তা খুব দুর্বল। আমাদেরকে কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি ম্যাট্টিসের (প্রতিরক্ষামন্ত্রী) সঙ্গে কথা বলেছি, আমরা সামরিকভাবে কিছু পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। একটি দেয়াল নির্মাণ না করা পর্যন্ত এবং যথার্থ নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আমরা সেনা সদস্যদের দিয়ে আমাদের সীমান্ত পাহারা দেব। এটি একটি বড় পদক্ষেপ।’ পার্সটুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।