Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্ত্রীর পরকীয়ার কারণেই খুন অ্যাডভোকেট রথীশ

ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্ত্রী ও তার প্রেমিক মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে

রংপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০১৮, ৬:২১ পিএম

পারিবারিক কলহ, সন্দেহ ও স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের কারণেই খুন হয়েছেন রংপুরের বিশেষ আদালতের পিপি এডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক (বাবু সোনা) ।
আজ বুধবার রংপুর র‌্যাব-১৩ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দীর্ঘ দুই মাস ধরে হত্যা পরিকল্পনা করেন অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দিপা ও তার প্রেমিক কামরুল মাস্টার। তারা উভয়েই তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
তিনি আরও জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী আগেই তাজহাট মোল্লা পাড়ার দুই কিশোরের সহযোগিতায় ২৮ মার্চ বুধবার একটি নির্মাণাধীন ভবনের ভেতরে মেঝের বালু সরিয়ে গর্ত করে রাখে তারা। পরের দিন ২৯শে মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে ভাত ও দুধের সাথে ১০ টি ঘুমের বড়ি খাওয়ানো হয়। এরপর স্নিগ্ধা ও কামরুল মিলে তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। rathish-wifeহত্যার পর লাশ বাড়ির একটি আলমারিতে ঢুকিয়ে কৌশলে আলমারি পরিবর্তনের কথা বলে তা নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ির অদূরে তাজহাট মোল্লাপাড়ার সেই নির্মাণাধীন বাড়িতে। যেখানে আগে থেকেই গর্ত করে রাখা হয়েছিলো। পরে সেই গর্তেই লাশ পুতে ফেলে তারা। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের পুরো ঘটনাটিই নিজ মুখে শিকার করেন স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার (দীপা ভৌমিক)।
এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত স্নিগ্ধা ও দুই কিশোর সবুজ ও রোকনুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই দুই কিশোর মাত্র তিনশো টাকার বিনিময়ের বালু খুঁড়ে গর্ত করে রাখে এবং শুক্রবার (৩০ মার্চ) সকাল এগারোটার দিকে লাশ মাটি চাঁপা দেওয়ার পর ঐ তা সমান করে রাখে। র‌্যাব ও পুলিশের তদন্তে এসব বিষয় উঠে এসেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দিপা ও স্ত্রীর প্রেমিক কামরুল মাস্টার, সবুজ ইসলাম ও রোকনুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়। কামরুল মাস্টার তাদের শিক্ষক হওয়ায় তারা এ আদেশ পালন করে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৩১ মার্চ) আইনজীবী রথীশের নিখোঁজের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন সংগঠন তার খোঁজ দাবিতে আন্দোলনে নামে। পরে র‌্যাব- ১৩ (রংপুর) এর সাথে ঢাকা থেকে একটি বিশেষজ্ঞ টিম আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিক নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি তদন্ত শুরু করে। র‌্যাবের গোয়েন্দা টিম তথ্য পেয়ে মঙ্গলবার ৩ এপ্রিল বাবু সোনার স্ত্রী স্নিগ্ধা ভৌমিক দীপাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এতে তিনি পারিবারিক কলহ, সন্দেহ ও পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়ে তার কথিত প্রেমিক কামরুল মাস্টারসহ সে তার স্বামীকে হত্যা করেছে জানিয়ে লাশের অবস্থানের কথা জানায়।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ৫ এপ্রিল, ২০১৮, ৭:৫৭ পিএম says : 0
    আমরা যখন ছাত্র তখন আমরা শিক্ষকে খুবই সম্মান করতাম এবং আমাদেরকে বলা হয়েছিল বাবা মা জন্মদেয় এবং শিক্ষক মানুষ করে কাজেই শিক্ষকই হচ্ছে গুরু এবং তাকে সম্মান ও ভক্তি করতে হয়। এমনও গল্প বইতে পড়েছি যে রাজার ছেলেও শিক্ষকের পা নিজে হাতে ধুইয়ে দিতেন। সেসময় প্রকৃতই শিক্ষকরাই ছাত্র/ছাত্রীদেরকে প্রকৃত শিক্ষা দিতেন, তারা ভক্তি পেতেন ঠিকই কিন্তু তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য অনেক কষ্ট করতে দেখেছি। কিন্তু এখন শিক্ষকদের বেতন ছাড়াও ছাত্রছাত্রী পড়িয়ে প্রচুর পয়সা উপার্জন করে বিলাসিতার জীবন যাপন করতে দেখা যায়। আর এসব কারনেই এখনকার শিক্ষকদের নৈতিকতাও লোপ পেয়েছে। ........ আল্লাহর দেয়া কেতাবী ধর্ম অনুসারীদের আল্লাহ্ বলেছেন প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে কোন রকম অশ্লীল (অনৈতিক) কাজ থেকে বিরত থাকতে। আল্লাহ্ আমাকে সহ সবাইকে নিজের ইজ্জৎ বাঁচিয়ে নৈতিকতার সাথে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ