Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর কারাগারে ডিগ্রির অভাব নেই ভুয়া চিকিৎসক

রেজার মাসে আয় তিন লাখ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ডিগ্রির অভাব নেই ভূয়া চিকিৎসক ওয়ালী উর রেজার। নামের পাশে চারটি ডিগ্রি। আবার সহকারী অধ্যাপক। তিনি মেডিসিন ও শিশু বিশেষজ্ঞও। রাজধানীতেই তিনি নিয়ম করে প্রতিদিন সকাল ও রাতে রোগী দেখেন। সপ্তাহে এক দিন রোগী দেখেন কুষ্টিয়াতেও। আদতে তিনি শুধু এইচএসসি পাস। মাসে তার আয় তিন লাখ টাকা। রাজধানীর রামপুরার পূর্ব হাজীপাড়ার দি যশোর মেডিসিন কর্নার থেকে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল গত রোববার রাত নয়টার দিকে অভিযান চালিয়ে ওই ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করে। পরে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই বছরের জেল দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠায়।
র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া কলেজ থেকে ২০০০ সালে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন তিনি। আর গত চার বছর ধরে রাজধানীর রামপুরা পূর্ব হাজীপাড়া এলাকার যশোর মেডিসিন কর্নারে শিশু ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা দিতেন। এর আগেও দুই বছর রামপুরা ওয়াপদা রোড এলাকার মেডিসিন কর্নারে রোগী দেখতেন ওয়ালীর। সব মিলিয়ে প্রতারণা চলেছে ছয় বছর। এই সময়ের মধ্যে কত শিশু বা অন্য রোগীর সর্বনাশ তিনি করেছেন, সেটা জানা যায়নি।
র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, এইচএসসি পাস হলেও নিজেকে এমবিবিএস শেষ করে আরও উচ্চতর ডিগ্রিধারী হিসেবে পরিচয় দিতেন ওয়ালীর। এফসিপিএস ও এমডি করা আছে বলে বিজ্ঞাপন দিয়েই চিকিৎসার নামে টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি। রোগী প্রতি তিনশ টাকা করে নিতেন ওয়ালীর। আর ইদানীং চিকিৎসকরা এর চেয়ে বেশি টাকা ফি নেন বলে তার কাছে রোগী আসত অনেক। প্রতিদিন ৩০ জনেরও বেশি রোগী দেখে কোনোদিন ১০ হাজার, কোনোদিন ১২ হাজার বা তার চেয়ে বেশি টাকা পকেটে ভরতেন ওয়ালীর। এই হিসেবে মাসে তার আয় ছিল তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা। কীভাবে এবং কার মাধ্যমে তিনি এই পেশায় আসলেন, এমন প্রশ্নে র‌্যাবের নির্বাহী হাকিম সারওয়ার আলম বলেন, ওয়ালীর রেজা নিজেই কিছু ওষুধের নাম শিখে নিজে এই পেশায় যুক্ত হয়েছিলেন। কারণ এই পেশা তার কাছে সহজ মনে হয়েছিল। র‌্যাবের সরবরাহ করা ব্যবস্থাপত্রে দেখা যায়, ওই ভুয়া চিকিৎসকের নামের সঙ্গে এমবিবিএস, বিসিএস, এমডি ও এফসিপিএস ডিগ্রির উল্লেখ রয়েছে।

 

 

 



 

Show all comments
  • মারুফ ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ৩:০১ এএম says : 0
    এদের ফাঁসি দেয়া উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • Shahriar Khalid Pulak ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১:৪৯ পিএম says : 0
    Thanks RAb.please continue. all over in Bangladesh and save our general pupil
    Total Reply(0) Reply
  • Faruque Rahman ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১:৫০ পিএম says : 0
    দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড অবশ্যই যথেষ্ট নয়, শাস্তির মাত্রা আরও বহুগুণ বাড়ানো উচিত
    Total Reply(0) Reply
  • Kazi Mohammed Mohosin ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১:৫১ পিএম says : 0
    আমরা চাই এইরকম অভিযান সবসময় চালু তাক।আর এদের সরব্বোচ্চ শাস্তি দওয়া হোক কারন তারা মানুষ হত্যা করার মত অপরাধ করছে।এদের ভুল চিকিৎসাই কত মানুষ মারা গেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Milon Mia ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১:৫২ পিএম says : 0
    আপনাদের কাছে আমাদের সাধারন মানুষের অনুরোধ। আমরা সাধারন মানুষ কিভাবে বুজবো কোনটা আসল ডাকতার কোনটা নকল ডাকতার। সেটা জদি জানিয়ে দেন তাহলে অনেক উপকার হবে
    Total Reply(0) Reply
  • A Hossain Akbar ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১:৫৩ পিএম says : 0
    Thanks RAb.please continue.over all Bangladesh
    Total Reply(0) Reply
  • Hussain Iqbal ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১:৫৪ পিএম says : 0
    তোমরা যারা মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা কামাও মনে রাখ এই টাকা তোমাদের কোন উপকারে আসবেনা। জাহান্নাম তোমাদের জন্য চিরস্থায়ী।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohosin Babu ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১:৫৭ পিএম says : 0
    Good work
    Total Reply(0) Reply
  • Md Juyel ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ২:০০ পিএম says : 0
    বড় সাজা দেয়া উচিত
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভুয়া

২৫ জানুয়ারি, ২০২৩
২০ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ