পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডিগ্রির অভাব নেই ভূয়া চিকিৎসক ওয়ালী উর রেজার। নামের পাশে চারটি ডিগ্রি। আবার সহকারী অধ্যাপক। তিনি মেডিসিন ও শিশু বিশেষজ্ঞও। রাজধানীতেই তিনি নিয়ম করে প্রতিদিন সকাল ও রাতে রোগী দেখেন। সপ্তাহে এক দিন রোগী দেখেন কুষ্টিয়াতেও। আদতে তিনি শুধু এইচএসসি পাস। মাসে তার আয় তিন লাখ টাকা। রাজধানীর রামপুরার পূর্ব হাজীপাড়ার দি যশোর মেডিসিন কর্নার থেকে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল গত রোববার রাত নয়টার দিকে অভিযান চালিয়ে ওই ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করে। পরে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই বছরের জেল দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠায়।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া কলেজ থেকে ২০০০ সালে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন তিনি। আর গত চার বছর ধরে রাজধানীর রামপুরা পূর্ব হাজীপাড়া এলাকার যশোর মেডিসিন কর্নারে শিশু ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা দিতেন। এর আগেও দুই বছর রামপুরা ওয়াপদা রোড এলাকার মেডিসিন কর্নারে রোগী দেখতেন ওয়ালীর। সব মিলিয়ে প্রতারণা চলেছে ছয় বছর। এই সময়ের মধ্যে কত শিশু বা অন্য রোগীর সর্বনাশ তিনি করেছেন, সেটা জানা যায়নি।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, এইচএসসি পাস হলেও নিজেকে এমবিবিএস শেষ করে আরও উচ্চতর ডিগ্রিধারী হিসেবে পরিচয় দিতেন ওয়ালীর। এফসিপিএস ও এমডি করা আছে বলে বিজ্ঞাপন দিয়েই চিকিৎসার নামে টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি। রোগী প্রতি তিনশ টাকা করে নিতেন ওয়ালীর। আর ইদানীং চিকিৎসকরা এর চেয়ে বেশি টাকা ফি নেন বলে তার কাছে রোগী আসত অনেক। প্রতিদিন ৩০ জনেরও বেশি রোগী দেখে কোনোদিন ১০ হাজার, কোনোদিন ১২ হাজার বা তার চেয়ে বেশি টাকা পকেটে ভরতেন ওয়ালীর। এই হিসেবে মাসে তার আয় ছিল তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা। কীভাবে এবং কার মাধ্যমে তিনি এই পেশায় আসলেন, এমন প্রশ্নে র্যাবের নির্বাহী হাকিম সারওয়ার আলম বলেন, ওয়ালীর রেজা নিজেই কিছু ওষুধের নাম শিখে নিজে এই পেশায় যুক্ত হয়েছিলেন। কারণ এই পেশা তার কাছে সহজ মনে হয়েছিল। র্যাবের সরবরাহ করা ব্যবস্থাপত্রে দেখা যায়, ওই ভুয়া চিকিৎসকের নামের সঙ্গে এমবিবিএস, বিসিএস, এমডি ও এফসিপিএস ডিগ্রির উল্লেখ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।