Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গাজীপুরে আজমত না জাহাঙ্গীর খুলনায় তালুকদার খালেক না শেখ জুয়েল

প্রার্থী নির্বাচন ও কোন্দলে চিন্তিত আ.লীগ

তারেক সালমান | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ১৫ মে এ দুটি সিটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে । এ দুই সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন দিতে সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তালিকায় আওয়ামী লীগের চার জন প্রার্থী স্থান পেয়েছেন। এরমধ্যে গাজীপুর সিটিতে মেয়র পদে আলোচনায় রয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এবং খুলনায় আছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক ও শেখ পরিবারের সদস্য শেখ জুয়েল। শেখ জুয়েল বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলালের ভাই। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্রগুলো এসব তথ্য জানিয়েছে। তবে আওয়ামী লীগকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে ২০১৩ সালের পাঁচ সিটি নির্বাচনের ফলাফলের। তাই হাইকমান্ডের আশঙ্কা, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সুষ্ঠু ভোটে, কোন্দল পাশ কাটিয়ে প্রার্থী বিজয়ী করে আনাই হবে ক্ষমতাসীনদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহল এ দুই সিটি নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করতে চায়। তাই প্রার্থী দিয়ে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকতে চায় আওয়ামী লীগ। এ কারণে প্রার্থী বাছাইয়ে তৃণমূলকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্রগুলো জানায়, বিএনপি সিটি নির্বাচনে অংশ নেবে। ক্ষমতাসীনদের কৌশল হলো জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে ভোটযুদ্ধে অংশ নিয়ে ভোটের মাঠে শক্তি পরীক্ষা করে নেয়া। খুলনা, গাজীপুর, রাজশাহী ও বরিশাল সিটি নির্বাচন একসঙ্গে হওয়ার কথা থাকলেও কৌশল হিসেবে দু’টি করে সিটির নির্বাচন করতে চায় সরকার। দলের সভাপতিমÐলীর ও সম্পাদকমÐলীর কয়েকজন নেতা বলেছেন, এ দুই সিটি নির্বাচন আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের আগে ভোটের মাঠে নিজেদের অবস্থান জানতে চায় আওয়ামী লীগ।
জানা গেছে, গাজীপুর বাণিজ্যিক শহর হওয়ায় ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এক সম্ভাব্য প্রার্থী জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এসব সংগঠন এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহলে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানের কথা জানিয়েছে। গাজীপুরে অনেক পোশাক কারখানা থাকায় এসব ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো ভোটের বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। তাই দলের একটি ক্ষুদ্র অংশ জাহাঙ্গীর আলমকে মনোনয়ন দেয়ার পক্ষে থাকলেও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা ও দলের বড় অংশ চাচ্ছেন আজমতউল্লাহ খানকে।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টঙ্গী পৌরসভার সাবেক মেয়র এ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান দলীয় কোন্দলের কারণে গত নির্বাচনে বিএনপির অধ্যাপক এমএ মান্নানের কাছে হেরে যান। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ ও স্থানীয় সরকারের সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পৃক্ত থাকায় এবারো আজমত উল্লাহ খানকে দলের প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তাকে নিয়ে তেমন কোনো বিতর্ক নেই। সাধারণ মানুষের কাছে তার রয়েছে জনপ্রিয়তা। সব মিলিয়ে দলের হাইকমান্ডের পছন্দ তাকেই। দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তবে মনোনয়ন দৌড়ে আলোচনায় আছে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের নাম। গাজীপুর সদর ও টঙ্গী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। গত নির্বাচনে ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী; যদিও নির্বাচনের আগমুহুর্তে তিনি বসে যান। দলের একাধিক নেতা জানান, গাজীপুরে আজমত উল্লাহ খানকেই হাইকমান্ডের পছন্দ। সেদিক থেকে শেষ পর্যন্ত তিনিই মনোনয়ন পেতে পারেন।
জানতে চাইলে এ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান বলেন, আমি দীর্ঘদিন স্থানীয় সরকারের সঙ্গে কাজ করেছি। আমার বেশ অভিজ্ঞতা আছে। আমি দীর্ঘদিন টঙ্গী পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। সিটি করপোরেশনের গত নির্বাচনের পর থেকেই আমি মাঠে কাজ করছি। এখনো আছি। আমার বিশ^াস দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।
অন্যদিকে খুলনা সিটিতে, তালুকদার খালেক দলীয় সংসদ হওয়ায় তাকে মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করা কতটা যুক্তিযুক্ত হবে তা নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। সেক্ষেত্রে শেখ পরিবারের সদস্য শেখ জুয়েলকে বেছে নেয়া হতে পারে। শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ দু’জন নেতা জানান, তালুকদার খালেককে শেখ হাসিনা পছন্দ করেন। তবে শেখ জুয়েলকে প্রার্থী করা হলে দলীয় কোন্দল এড়ানো সম্ভব হবে বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ে আওয়ামী লীগ সব সময় তৃণমূলের মতামতকে প্রাধান্য দেয়। আগামী সপ্তাহে মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে মনোনয়ন বোর্ড মেয়র ও কাউন্সিলর পদে দলের চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করবে।
সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা থেকে যাচাই বাছাই করে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে আগামী সপ্তাহে দলের মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তৃণমূল থেকে পাঠানো প্রার্থী তালিকা যাচাই বাছাই করে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়ন দেবে। গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আগামী ৫ ও ৬ এপ্রিল দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে এবং আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে মনোনয়নের আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের দুই সাংগঠনিক জেলা শাখায় তৃণমূল থেকে প্রার্থী প্যানেল পাঠানোর সার্কুলার পাঠিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্যদের নিয়ে বর্ধিত সভা করবে। সভায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কমপক্ষে তিন জনের একটি প্যানেল সুপারিশ করবে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতারা। প্যানেলটি মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরে প্রার্থীদের যোগ্যতা, নেতৃত্বের গুণাবলি ও জনপ্রিয়তা ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করবে। আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যেই তৃণমূলের এ মতামত কেন্দ্রে পাঠাতে হবে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যাদের নাম আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দফতরে পাঠাবে শুধু তারাই আওয়ামী লীগের ফরম ক্রয় করতে পারবেন।
অনুরূপ গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি প্যানেল তৈরির জন্য ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্যদের নিয়ে সভা করবে। সভায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে প্রতি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর জন্য কমপক্ষে তিন জনের একটি প্যানেল সুপারিশ করবে। প্যানেলটি মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরে প্রার্থীদের যোগ্যতা, নেতৃত্বের গুণাবলি ও জনপ্রিয়তা ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করে কমপক্ষে তিন জনের সুপারিশ আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে প্রেরণ করবে। সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচনেও (৩টি ওয়ার্ড নিয়ে একটি সংরক্ষিত মহিলা আসন) অনুরূপ নিয়মাবলী প্রযোজ্য হবে।
গত ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত এ দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি প্রার্থীরা। গাজীপুরে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের প্রার্থী অধ্যাপক এমএ মান্নান টেলিভিশন প্রতীকে পেয়েছিলেন চার লাখ ৬৮ হাজার ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে পান তিন লাখ ১২ হাজার ভোট। এক লাখ ৫৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে অধ্যাপক মান্নান বিজয়ী হন। আজমত উল্লাহ খানের পরাজয়ের কারণ হিসেবে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলকে দায়ী করেন অনেকে। গাজীপুরে আরেক বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ নেতা (মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক) জাহাঙ্গীর আলম মেয়র পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে চেয়েছিলেন। তা নিয়ে অনেক নাটকও ঘটে যায় সেসময়। এবারো আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা নিয়ে তীব্র কোন্দল রয়েছে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।
আবার ২০১৩ সালের খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এক লাখ ৮০ হাজার ৯৩ ভোট পেয়ে জয়ী হন বিএনপির মনিরুজ্জামান মনি (আনারস প্রতীক)। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুুল খালেক (তালা) প্রতীকে ভোট পান ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২২। প্রায় ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপির মনিরুজ্জামান মনি। এবারো বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন মনিই। এবারো আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তালুকদার আব্দুুল খালেকের। সঠিক মেয়র প্রার্থী বাছাই এবং দলীয় কোন্দল সামাল দেয়া সম্ভব না হলে এবরো আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপদ হতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে, নির্বাচন কমিশন সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ভোটের উত্তাপ বেড়েছে গাজীপুর ও খুলনায়। এ দুটি সিটি করপোরেশন এখন সম্ভাব্য মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের পদচারণায় সরগরম। ভোটগ্রহণের বাকি আছে আরো দেড় মাস। আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু না হলেও বসে নেই প্রার্থী হতে আগ্রহীরা। দলীয় মনোনয়নের জন্য অপেক্ষা আছে। হাইকমান্ডে চলছে জোরালো লবিং। মাঠের প্রচারণায় প্রতিদ্ব›দ্বীর চেয়ে পিছিয়ে পড়তে রাজি নন কেউই। নানা কায়দায় চলছে তাদের জনসংযোগ। চেষ্টা চলছে ভোটারদের খুশি করার। প্রতিনিধি নির্বাচনের আরেকটি সুযোগ ভোটারদের সামনে। উপযুক্ত মেয়র-কাউন্সিলর বেছে নেয়ার এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না তারা। দলীয় বিবেচনাতো আছেই। স্থানীয় সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে স্থানীয় উন্নয়ন ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধার বিষয়টিও সামনে চলে আসে। তাই ভোটাররা সতর্কতার সঙ্গেই বড় দু’দলের সম্ভাব্য প্রার্থী এবং তাদের জয়-পরাজয়ের সম্ভাবনা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন। তুলনা করছেন আগের নির্বাচনে ভোটের হিসাব সামনে রেখেই। দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ আগামী ১২ এপ্রিল। ১৫ ও ১৬ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই করা হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৩ এপ্রিল। আর ভোট হবে ১৫ মে।



 

Show all comments
  • শামীম ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ৩:০২ এএম says : 0
    সুষ্ঠ ভোট হবে রেজাল্ট কি হবে সেটা সকলের জানা আছে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

১৬ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ