পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনা ব্যুরো : খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েটে) তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন স্নাতক পর্যায়ে ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে ৩৮ জন কৃতি গ্রাজুয়েটের হাতে ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক’ তুলে দেবেন প্রেসিডেন্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ। গতকাল সোমবার দুপুরে কুয়েটের সম্মেলন কক্ষে সমাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর।
এ সময় তিনি বলেন, এবারের সমাবর্তনে যে সব শিক্ষার্থী ২০১০-১১ থেকে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে বিএস-সি. ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিইউআরপি এবং দ্বিতীয় সমাবর্তনের পর থেকে এ সময়কাল পর্যন্ত পি-এইচডি, এম.ফিল, এমএস-সি ইঞ্জিনিয়ারিং ও এমএস-সি ডিগ্রি অর্জন করেছেন তাদের ডিগ্রি দেওয়া হবে। সর্বমোট ২ হাজার ৭শ ৯৫ জনকে স্নাতক ও ২শ ২৮ জনকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়া হবে। এর মধ্যে বিএস-সিইঞ্জিনিয়ারিং ২ হাজার ৬৫৭, বিইউআরপি ১৩৮, এমএস-সি ৬৯, এমএস-সি ইঞ্জিনিয়ারিং ১০৩, এম.ফিল ৪৮ এবং ৮ জনকে পি-এইচডি ডিগ্রির সনদ দেওয়া হবে।
ভিসি বলেন, সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আসগর। বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান। এতে তিন অনুষদের ডিন স্ব-স্ব অনুষদের গ্র্যাজুয়েটদের ডিগ্রি দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ও চ্যান্সেলরের কাছে উপস্থাপন করবেন। প্রেসিডেন্ট ডিগ্রি প্রদান করবেন। এ পর্যন্ত অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বমোট ৬ হাজার ৬শ ৮৩ জনকে ডিগ্রি সনদ দেওয়া হয়েছে।
মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, সারাবিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে চলার লক্ষ্য অর্জনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাত্র তিনটি বিভাগ ১২০জন স্নাতক ছাত্র ও একজন ছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই বিদ্যাপীঠে এখন ১৮টি বিভাগ ০৩টি ইনস্টিটিউটে ৪ হাজার ৬শ ৩৫ জন স্নাতক ও ১ হাজার ৭৩ স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী এবং ৮৯৩ জন ছাত্রী রয়েছে।
নির্মিত হচ্ছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম ‘আইটি ইনকিউবিশন ও ট্রেনিং সেন্টার’। উন্নত গবেষণাগার, দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামো ও পরিচ্ছন্ন-সুন্দর নয়নাভিরাম ক্যাম্পাস গড়ে তুলে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল উদ্ভাবনী শক্তির ক্রমবিকাশ ঘটিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এটি একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে স্নাতক পর্যায়ে সব বিষয়বস্তুর সমন্বয় ঘটেছে। এখানে যেমন রয়েছে সনাতনী বিষয়বস্তু সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, আরবান প্লানিং ও আর্কিটেকচার। তেমনি রয়েছে যুগোপযোগী বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কন্সট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, এনার্জি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাটেরিয়ালস্ সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, রয়েছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং।
বর্তমান যুগের চাহিদা এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কথা বিবেচনায় এনে খুব শীগগিরই আরও ৪টি নতুন বিভাগ চালু করা হবে, যার মধ্যে ওসেনোগ্রাফি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এরোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং উল্লেখযোগ্য।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. কাজী হামিদুল বারী, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রফিক, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া, রেজিস্ট্রার জি এম শহিদুল আলম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।