পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : গাজা সীমান্তে গুলি করে ফিলিস্তিনিদের হত্যার ঘটনা নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোয়ান এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন। গত শুক্রবার ইসরায়েলি সৈন্যদের গুলিতে গাজা সীমান্তে ১৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের ভেতর তাদের ফেলে আসা পিতৃপুরুষের মাটিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার দাবি করে সেখানে বিক্ষোভ করছিলেন। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান গত রোববার এই রক্তাক্ত ঘটনার জন্য ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে দায়ী করে তাকে একজন ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে বর্ণনা করেন। এর আগে অবশ্য ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই ঘটনার ব্যাপারে আঙ্কারা যে নৈতিক অবস্থান নিয়েছে, সে ব্যাপারে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, তুরস্ক নিজেই যেখানে অন্যদেশে বেসামরিক লোকজনের ওপর নির্বিচার বোমা ফেলছে, সেখানে তাদের মুখে এসব কথা সাজে না। তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান গাজা সীমান্তে যেভাবে ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে তাকে অমানবিক আক্রমণ বলে মন্তব্য করেন।
টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘নেতানিয়াহু! আপনি হচ্ছেন একজন দখলদার। একজন দখলদার হিসেবে আপনি এই জমির ওপর আছেন। একই সঙ্গে আপনি একজন সন্ত্রাসবাদী’।
দুই জনের এই তীব্র বাকযুদ্ধ এমন সময়ে শুরু হলো যখন আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় ইসরাইলি সামরিক পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনায় মুখর।
কী ঘটেছিল শুক্রবার
শুক্রবার হাজার হাজার ফিলিস্তিনি গাজা থেকে ইসরাইলের সীমান্তের দিকে মিছিল করে যাওয়ার পর তাদের ওপর ইসরাইলি সৈন্যরা গুলি চালায়। সেদিন গুলিতে ১৬ জন নিহত হয়। ফিলিস্তিনিরা তাদের এই মিছিলের নাম দিয়েছে ‘গ্রেট মার্চ টু রিটার্ন’ বা নিজের ভূমিতে ফিরে যাওয়ার মিছিল। ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ৭০তম বার্ষিকীর আগে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের বিরুদ্ধে ছয় সপ্তাহব্যাপী এক প্রতিবাদের অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে। ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের ভেতরে তাদের ফেলে আসা বাড়ি-ঘরে ফিরে যাওয়ার অধিকার চায়।
ফিলিস্তিনিরা প্রতি বছরের ৩০ মার্চকে ‘ভূমি দিবস’ হিসেবে পালন করে। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ফিলিস্তিনিরা যখন তাদের জমি দখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিল, তখন ইসরাইলি সৈন্যদের গুলিতে ছ’জন নিহত হয়।
ছ’সপ্তাহ ব্যাপী এই বিক্ষোভ শেষ হবে আগামী ১৫ মে, যেদিনটিকে ফিলিস্তিনিরা ‘নাকবা’ কিংবা বিপর্যয় দিবস হিসেবে পালন করে। ১৯৪৮ সালের ঐ দিনে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ফেলে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিল ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর।
ফিলিস্তিনিরা বহু দশক ধরে ইসরাইলে তাদের ফেলে আসা বসত বাড়িতে ফিরে যাওয়ার অধিকার দাবি করছে। কিন্তু ইসরাইল এই অধিকারের স্বীকৃতি দেয়নি। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।