Inqilab Logo

শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চাষিদের মাথায় হাত

কুড়িগ্রামে পরপর দুই মৌসুমে আলুর দরপতন

| প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে চলতি মৌসুমে আলুর বাম্পার ফলন হলেও বাজার মূল্য না থাকায় লাখ লাখ টাকার গচ্চা দিতে হচ্ছে আলুচাষী ও ব্যবসায়ীদের। জমি থেকে আলু তুলে খরচের টাকা তুলতে হিমসীম খাচ্ছেন তারা। গত বছর আলুতে লোকসান হওয়ার পর এবার বাইরের ব্যবসায়ীরাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ফলে ক্রেতা না পেয়ে আলু নিয়ে চাষীরা পরেছে চরম বিপাকে। ভবিষ্যতে আলু চাষ নিয়ে শঙ্কা ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ হাজার ২৬০ হেক্টর এবং অর্জিত হয়েছে ৭ হাজার ২৯১ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১ হেক্টর বেশি। গত মৌসুমে আলুতে লোকসান হওয়ার পর নতুন আশায় সরকারি-বেসরকারিভাবে ঋণ করে অনেকেই আলু চাষে এগিয়ে আসে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয় আশানুরুপ। কিন্তু মাঠ থেকে আলু তুলে ক্রেতা না পেয়ে হতাশ আলুচাষীরা। আলু বিক্রি করে খরচ তোলাই এখন দায় হয়ে পড়েছে। ফলে ভবিষ্যতে আলুচাষ নিয়ে শঙ্কিত আলুচাষীরা। সরকারিভাবে কিংবা বিদেশে আলু রপ্তানী করা হলে এই শিল্প টিকে রাখা যাবে এবং চাষীরাও লোকসান থেকে রক্ষা পাবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
কাঁঠালবাড়ীর চাষী সোবহান ব্যাপারী জানান, আলু লাগানো থেকে উঠানো পর্যন্ত সমপরিমাণ খরচ লাগছে। ক্রেতাও পাওয়া যাচ্ছে না। আলু আবাদ করে বিপদে পরেছি ভাই।।
অপর চাষী নুরন্নবী জানান, গতবারেও লোকসান দিছি। অনেক আশা নিয়ে বিভিন্নভাবে ধার-দেনা করে এবারেও আলু আবাদ করি। কিন্তু এই আলুর টাকা উঠবে কিনা চিন্তায় আছি।
কুড়িগ্রাম বাবর কোল্ড স্টোরেজ’র ম্যানেজার মোজাহিদুর রহমান বাবু এই প্রতিবেদককে জানান, সরকারের আলুচাষীদের ভর্তুকি দেয়া উচিৎ। পরপর দুবার আলুর দরপতন হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী বড় ধরণের লোকসান দিয়েছে। ঋণ করে অনেকে গাঢাকা দিতে বাধ্য হয়েছে। শিল্পটি টিকে রাখতে গেলে সরকারকে এদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আব্দুর রশিদ সরকার জানান, অধিক উৎপাদন ও বিদেশে রপ্তানী করতে না পারায় আলুচাষীরা কম মূল্য পাচ্ছে। সরকারি উদ্যোগে আলু বিদেশে রপ্তানী করা গেলে কৃষক লাভবান হতো। এছাড়াও কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের হিমাগারে অথবা স্থানীয়ভাবে আলু সংরক্ষণের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাষি

১৯ ডিসেম্বর, ২০২১
১৭ ডিসেম্বর, ২০২১
১৮ অক্টোবর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ