পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এবার চাষিরা পাটের মূল্য খুবই ভালো পেয়েছেন। এ কারণে তারা রয়েছেন খোশমেজাজে। পাটচাষি ফরিদপুরের নগরকান্দার আলতাফ হোসেনের কথা ‘পাটের দাম এবার গত কয়েকবছরের চেয়ে বলা যায় দ্বিগুণ। কদর ও দাম বেড়েছে পাটকাঠিরও। পাট চাষিদের কথা এই অবস্থা যদি থাকে তবে অচিরেই আগের মতো স্বর্ণযুগ ফিরবে সোনালি আঁশে। তবে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নজরদারি রাখতে হবে। একথা চাষি, বিপণন কর্মকর্তা ও মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদেরও।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, চলতি মৌসুমে সারাদেশে ৭ লাখ ২৭ হাজার হেক্টর আবাদ হয়। উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৭০ লাখ বেল। তার কথা এবার পাটের উৎপাদন যেমন আশানুরূপ হয়েছে। চাষিরা মূল্যও পাচ্ছেন ভালো।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় চলতি বছরে পাটে সর্বোচ্চ মুনাফা ঘরে তুলতে পেরেছেন চাষিরা। বিঘা প্রতি পাট চাষে এবার কৃষকের দ্বিগুণ লাভ হয়েছে। পাটের উৎপাদন খরচ নির্ণয়ে দেখা গেছে, এক বিঘা বা ৩৩ শতক জমিতে পাট উৎপাদন করতে কৃষকের ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ পড়েছে। গড় উৎপাদন বিঘাপ্রতি ১২মণ হওয়ায় এবং মূল্য বেশি পাওয়ায় গত কয়েকবছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ লাভ হয়েছে চাষিদের। বর্তমানে বাজারে ২হাজার ৩শ’ থেকে শুরু করে ৩হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে।
চাষিদের কথা, বেশ কিছু দিন পাটে একেবারেই লাভ হত না। তাই চাষে আগ্রহ হারিয়ে যায়। দাম ভালো হওয়ায় লাভের দেখা মিলছে বিধায় আবার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তাদের কথা, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর পাটের ফলন হয়েছে আশানারুপ। দামও ভালো মিলছে। যশোর সদরের শেখহাটির ঈসমাইল হোসেন জানান, এক বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। সেখান থেকে ১০ মণ পাটের ফলন পেয়েছেন। তিনি জানান, বাজারে তুলে প্রতি মণ পাট ২ হাজার ৫শ’টাকা দরে বিক্রি করেছেন। এছাড়াও টাকার পাটকাঠি বিক্রি করেছেন ৬ হাজার। ঈসমাইল হোসেন বললেন, সব মিলিয়ে এক বিঘা জমিতে পাটের আবাদে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১১ হাজার টাকা।
সুত্র জানায়, দেশে রাষ্ট্রায়াত্ব ও প্রাইভেট মিলে ১শ’৮২টি জুট মিলে আনুমানিক ৫০ লাখ বেল পাটের চাহিদা রয়েছে। আরো বেশ কয়েক লাখ বেল জুট মিলের বাইরেও স্থানীয়ভাবে দড়ি তৈরিসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীদের কথা, সম্ভাবনাময় ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম মাধ্যম কৃষির এই খাতটির দিকে সরকার বিশেষ নজর দেয়ায় হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসছে। পাট উৎপাদন বেশি হওয়ায় পাটকলগুলো সহজে পর্যাপ্ত পাট হাতে পাচ্ছে। জুট মিলের উৎপাদিত চট, সুতা, কার্পেট ও বস্তা রফতানি করে যথেষ্ট সুগম হয়েছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পথ। ধানসহ অন্যান্য ফসলের মতো সার্বক্ষণিক নজরদারি ও যত্ম নিতে হয় না পাটচাষিদের। আবাদ খরচও তুলনামূলক কম। মাঠপর্যাযের কৃষি কর্মকর্তা ও পাটচাষিদের বক্তব্য, সোনালী আঁশের যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তা টিকিয়ে রাখার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। তাছাড়া যে কোন ফসলের প্রাণ হচ্ছে বীজ। সারা দেশে ৫ সহস্রাধিক মেট্রিক টন পাটবীজের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে বিএডিসি’র বীজ মাত্র ১হাজার ৬শ’ মেট্রিক টন। বাকি চাহিদা পুরণ করতে হচ্ছে ভারত থেকে। বীজ নিয়ে প্রতিটি মৌসুমে নানামুখী খেলা হয়। মাঠেরচিত্রে কিন্তু পাটবীজ এবং পাট উৎপাদন ও বিপনন ব্যবস্থাপনা খুবই দুর্বল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।