Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

১ এপ্রিল স্পেনে যা ঘটেছিল

এপ্রিল ফুল নির্মম মুসলিম হত্যার ইতিহাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বিশ্বসভ্যতার তদানীন্তন কেন্দ্রস্থল মুসলিম শাসিত স্পেনকে খ্রিস্টানরা পুনরায় নিজেদের দখলে নিতে অত্যন্ত সন্তর্পণে ‘রিকনকয়েস্টা’ অর্থাৎ পুনর্দখল আন্দোলন চালাতে থাকে এবং ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে। এমনকি তারা শাহী মহলেও বিরোধিতার ও বিদ্রোহের আগুন প্রজ্বলিত করতে সমর্থ হয়।
১৪৬৯ সালে এরাগন রাজা ফার্ডিন্যান্ড সে পর্তুগীজ রানী ইসাবেলাকে বিবাহ করে। এর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল যৌথ খ্রিস্টান শক্তির মাধ্যমে স্পেন দখল করে মুসলমানদের নিকট থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়া। তাই বিয়ের পর থেকেই রাজা-রানী যৌথ সৈন্যবাহিনী গঠন করে, মুসলমানদের নিকট থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকে। অবশেষে তারা মুসলমানদের অসতর্কতার সুযোগে স্পেনের রাজধানী গ্রানাডায় অতর্কিত হামলা চালায় এবং শহীদ করতে থাকে নিরীহ মুসলমানদেরকে। সন্ত্রাসবাদী যালিম খ্রিস্টান সৈন্যরা অবরোধ করে রাখে মুসলিম জনপথগুলো। কিংকর্তব্যবিমূঢ় মুসলমানরা চতুর্দিকে ছুটাছুটি করতে থাকে। বাঁচার মরণপণ চেষ্টা চালায়। মুসলমানদের মহাবিপর্যয় পর্যবেক্ষণ করে ধূর্ত যালিম প্রতারক রাজা ফার্ডিন্যান্ড, মুসলমানদের উদ্দেশ্যে প্রতারণামূলক ঘোষণা দেয়, যেসব মুসলমান অস্ত্র সমর্পণপূর্বক গ্রানাডার মসজিদসমূহে আশ্রয় নিবেন উনাদেরকে পূর্ণ নিরাপত্তা দেয়া হবে এবং যাঁরা সমুদ্রের জাহাজসমূহে আশ্রয় নিবেন তাঁদেরকে অন্যান্য মুসলিম দেশে পৌঁছে দেয়া হবে। অসহায় নিরস্ত্র মুসলমানরা সরলমনে প্রতারক খ্রিস্টান রাজার কথা বিশ্বাস করে আশ্রয় নেন বিভিন্ন মসজিদ ও জাহাজসমূহে। ফার্ডিন্যান্ডের নির্দেশে সন্ত্রাসবাদী যালিম খ্রিস্টান সৈন্যরা মসজিদসমূহ তালাবদ্ধ করে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং আশ্রয় নেয়া জাহাজগুলো গভীর সমুদ্রে ডুবিয়ে মুসলমানদেরকে শহীদ করে। এ বর্বর ঘটনায় প্রায় ৩০ লাখ মুসলমান শাহাদাতবরণ করেন। মুসলমানদের করুণভাবে প্রতারিত হতে দেখে মহাপ্রতারক রাজা ফার্ডিন্যান্ড উল্লাসচিত্তে স্বীয় স্ত্রী ইসাবেলাকে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকে- “হায় মুসলিম! তোমরা এত বোকা।” সে মুসলমানগদেরকে প্রতারণার মাধ্যমে শহীদ করার ঘটনা ঘটিয়ে এর নাম দিলো: ‘এপ্রিল ফুল’; অর্থ- ‘১লা এপ্রিলের বোকা’। কিন্তু গভীর পরিতাপের বিষয়, এক শ্রেণীর অজ্ঞ মুসলমান নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ভুলে গিয়ে অন্ধভাবে পালন করে যাচ্ছে ‘এপ্রিল ফুল’ (তথা এপ্রিলের বোকা দিবস)। নাঊযুবিল্লাহ! সুতরাং, মুসলমানদেরকে এপ্রিল ফুল দিবস পালন না করে প্রতিবাদ দিবস পালন করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
মুসলিম নিধনের মর্মান্তিক ইতিহাস ১লা এপ্রিল পালন করা থেকে বিরত থাকার জন্য দেশবাসির প্রতি আহবান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম- পীর সাহেব চরমোনাই। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মুসলিমবিদ্ধেষী দুইজন খৃষ্টান রাজারানীর এ পৈশাচিকতার ঐতিহাসিক স্বারক দিবসই হচ্ছে ‘এপ্রিলফুল’। মুসলিম হত্যার নির্মম এই এপ্রিল ফুল মুসলমান পালন করতে পারে না। পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, কোন ঈমানদার মুসলমান অমুসলিমদের চক্রান্তে নিজেদের সোনালী ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না। এই দিবসকে ধোকা দিবস হিসেবে চিহ্নিত করে জাতীয় শোক দিবস বা প্রতিবাদ দিবস পালন করা উচিত।



 

Show all comments
  • Rishad Azim ১ এপ্রিল, ২০১৮, ১০:২৮ এএম says : 0
    Shudhu april full na ... Aj kal mushlim ra nijer dhormo ke biliye diye Onno dhormo palon kore dukkho hoy jar nij dhormor proti valobasha nai se kise muslim . Othocho Islam dhormo prithibir 1 matro sotto r shantir dhormo. Allah amader sobai k hedayat korok..
    Total Reply(0) Reply
  • Ismail Hasain ১ এপ্রিল, ২০১৮, ১০:২৯ এএম says : 0
    বাংলাদেশের ইসলামি দল গুলোর উচিত ১ এপ্রিল মুসলিমদের গন হত্যা দিবস পালন করা এবং এর শিক্ষা ও করণীয় বিশ্ব মুসলিমদের সামনে তুলে ধরা
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফুল

৮ জানুয়ারি, ২০২৩
২৯ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ