নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : ক্যানবেরাতে সিরিজে ৪-০ তে পিছিয়ে পড়ার পর নিজের ব্যর্থতাকেই দুষেছিলেন মাহেন্দ্রসিং ধোনি। তবে কাল আর সেই ভুল করেননি ভারত অধিনায়ক। টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের উড়ন্ত সূচনার পর মানিশ পান্ডের সাথে থেকে যেটা করার সেটা করেছেন ভালেভাবেই। না, জয়ের নায়ক তিনি নন। তবে জয়ের নায়ক পান্ডের পাশে থেকে অধিনায়কের সাহস জোগানোটাও বা কম কিসে। এর অভাবেই যে আগের ম্যাচগুলো হেরেছে ভারত। ধোনি যখন ফিরলেন, ৪ বলে তখন জয়ের জন্য দরকার ৬ রান। ঠিক এমন চাপের সময় ৪ মেরে জয়টাকে সহজ তো করলেনই সেইসাথে সেঞ্চুরিও পেয়ে যান পান্ডে। পরের বলেই দুই রান, দুই বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটে জয়। ম্যাচ শেষে পান্ডেকে দেখে বোঝার উপায় নেই এই জয়ে লজ্জার হোয়াইট ওয়াশ এড়ালো ভারত। তবে তার উচ্ছ¡াসের কারণও আছে। এক তো ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি, তাছাড়া দলও জিতেছে তার কাঁধে ভর দিয়ে। উচ্ছ¡াসিত তো তিনি হবেনই। এটাও ঠিক এই জয়ে বড় ভূমিকা আছে অস্ট্রেলিয়ান ফিল্ডারদের হাত গলে দুই-দু’টি গুরুতর ক্যাচ গড়িয়ে পড়ারও।
এমন সান্ত¦নার জয়ে একটু আফসোসও থাকতে পারে রোহিত শর্মার। মাত্র এক রানের জন্য তিন অঙ্কেও জাদুকরি সংখ্যাটা যে ছোঁয়া হল না তার। সেটা হলে সিরিজে ৩য় শতকের দেখা পেতেন তিনি। তাতে কি, পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এ নিয়ে দুবার অতিক্রম করলেন চার শতাধিক রান যে রেকর্ড আছে কেবল আর এক জনেরই, হাশিম আমলার। তার আগে ১৮.২ ওভারে দলীয় ১২৫ রানে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসাবে আউট হওয়ার আগে ৫৬ বলে ৭৮ রানের এক কার্যকরী ইনিংস খেলে যান শেখর ধাওয়ান। এরপর দ্রæতই বিরাট কোহলি ফিরে গেলে সে অভাবটা একেবারে বুঝতেই দেননি পান্ডে। রোহিতকে সাথে নিয়ে মাত্র ১৪.৩ ওভারে ৯৭ রান যোগ করেন পান্ডে। রোহিত যখন হেস্টিংসের বলে আউট হলেন, জয়ের জন্য তখন দরকার পুরোপুরি ১০০ রান। ধাওয়ান ও কোহলিকেও ফেরান ওই হেস্টিংসই। এরপর ধোনির সাথে আবারো ১৪.৩ ওভারে ৯৪ রানের জুটি গড়েন ক্যারিয়ারের ৪র্থ ওয়ানডে খেলতে নামা পান্ডে। শেষ ওভারে ভারতের যখন দরকার ১৩ রান তখন মিচেল মার্শের শরণাপন্ন হন অজি অধিনায়ক স্মিথ। প্রথম বলে দিলেন ওয়াইড। পরের ফুলটস বলটি হাতছাড়া করবেন কেন ধোনি। ঠিকই উড়িয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করলেন তিনি। পান্ডের ১-৪ রানের ইনিংটি ছিল ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজানো।
এক পান্ডে তাÐবেই বৃথা গেল অজিদের জোড়া সেঞ্চুরি। মিচেল মার্শ করেন ক্যারিয়ারের প্রথম শতক। ৮৪ বলে খেলেন হার না মানা ১০২ রানের ইনিংস। এর আগে ক্যারিয়ারের ৫ম সেঞ্চুরি তুলে নেন ডেভিড ওয়ার্নার। তার ১১৩ বলে ১২২ রানের ইনিংটি ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় মোড়ানো। সেই সুবাদে ৩৩০ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় অস্ট্রেলিয়া। এ নিয়ে ৪ বার জোড়া শতক করেও হারতে হল অজিদের। যার তিন বারই ভারতের বিপক্ষে।
অস্ট্রেলিয়া : ৩৩০/৭ (ওয়ার্নার ১২২, মিচেল মার্শ ১০২*, জেসপ্রিত বোমরাহ ২/৪০, ইশান্ত শর্মা ২/৬০); ভারত : ৩৩১/৪ (রোহিত ৯৯, ধাওয়ান ৭৮, পান্ডে ১০৪*, হেস্টিংস ৩/৬১)। ফল : ভারত ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা : মানিশ পান্ডে (ভারত)। সিরিজ সেরা : রোহিত শর্মা (ভারত)। সিরিজ : অস্ট্রেলিয়া ৪-১ ব্যবধানে জয়ী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।