পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জার্মানিতে ক্যাথলিক চার্চের সর্বোচ্চ প্রতিনিধি কার্ডিনাল রেইনহার্ড মার্কস খ্রিস্টান ও মুসলমানদের মধ্যে আলোচনার আহবান জানিয়েছেন। জার্মানিতে মুসলমানদের স্থানের বিষয় নিয়ে বারবার বিতর্কের মধ্যে কার্ডিনাল মার্কসের এ আহবান শোনা গেল।
জার্মান বিশপস কনফারেন্সের প্রধান মার্কস তার ভাষায় মৌখিক, রাজনৈতিক ও সামরিক পুনঃঅস্ত্রসজ্জিতকরণ অধ্যায়ের প্রেক্ষাপটে মুসলিম ও অ-বিশ্বাসীদের সাথে আলোচনার জন্য খ্রিস্টানদের প্রতি আহবান জানান।
খ্রিস্টানদের গুড ফ্রাইডের পবিত্র দিনে মিউনিখে এক ধর্মীয় শোভাযাত্রায় প্রদত্তব্য বক্তব্যে মার্কস বলেন, যখন বিদ্বেষ ও সহিংসতা প্রচার করা হয় তখন খ্রিস্টান ধর্মবিশ্বাসীদের ‘না’ বলা এবং চার্চ, সিনাগগ বা মসজিদের উপর হামলার নিন্দা করা উচিত।
তিনি খিস্টান ধর্মে বিশ্বাসীদের অন্য ধর্মের মানুষ বা যাদের কোনো ধর্ম নেই তাদের সাথে আলোচনা করার এবং অ-সহিংসতা ও ভালোবাসার পথে হাঁটার আবেদান জানান।
মার্কস বলেন, ইউরোপ ও বিশ্বের খ্রিস্টান হিসেবে আমরা আমাদের নিজ অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানিঃ বন্ধুত¦ ছাড়া, আলোচনা ছাড়া, অন্যদের কাছে খোলামন ছাড়া কোনো সমঝোতা, কোনো আলোচনা , কোনো সম্প্রদায় প্রীতি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। বরং অবিশ্বাস, ভীতি ও সহিংসতা সৃষ্টি হয়।
ইসলাম বিতর্ক
তিনি বিজয়ী ও পরাজিতদের ক্রমবর্ধমান বাগাড়ম্বর এবং জাতীয় স্বার্থ হাসিলে অস্ত্রের উপর নির্ভরতার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে।
তিনি বলেন, লোকে অধিক থেকে অধিকতর অস্ত্রের সাহায্যে শান্তি আনতে চায়। এটা তাদের কোথায় নিয়ে যাবে? আমি এ ধরনের যুক্তি মেনে নিতে পারি না। তিনি শান্তি ও অ-সহিংসতা প্রচারের জন্য খ্রিস্টানদের প্রতি আবেদন জানান।
সম্প্রতি জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যাভেরিয়ান খ্রিস্টান সোসাল ইউনিয়নের হোর্স্ট সিহোফার ইসলাম জার্মানির ধর্ম নয় বলে মন্তব্য করার পর জার্মানিতে ইসলামের ভ‚মিকার ব্যাপারে বিতর্ক দানা বেঁধে ওঠে। সিহোফারের মন্তব্যের পর ডানপন্থী পপুলিস্ট অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) বিবৃতিতে তারই প্রতিধ্বনি শোনা যায়। এটি এখন জার্মানির বৃহত্তম বিরোধী দল।
তবে সিহোফারের মন্তব্যের সমালোচনা করছে জার্মানির বাকি রাজনৈতিক দলগুলো। জার্মানিতে সম্প্রতি মুসলিম বিরোধী ও সেমিটিক বিরোধী ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।