পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে দেশে ৭৩২টি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ। আর এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের নেতা-কর্মীরা জড়িত বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি।
সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠির মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরতে গতকাল শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি।
সংগঠনের হিসাব অনুয়ায়ী, গত তিন মাসে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১০ জন নিহত এবং ৩৬৬ জন আহত হয়েছেন। অপহরণের শিকার হয়েছেন ১০ জন, যাদের মধ্যে ২ জনকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮ জন সংখ্যালঘু নারী।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানাদাশ গুপ্ত বলেন, মূলত এসব ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের নেতা-কর্মীরা জড়িত ছিলো। শুধু তাই নয়, সংখ্যালঘু নির্যাতনের ক্ষেত্রে দল-মত নির্বিশেষে সবার মধ্যে এক ধরনের আঁতাত লক্ষ্য করা যায়। এসব ঘটনার পর ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তাদের কোনো অভিযোগ গ্রহণ না করে উল্টো তাদেরই হয়রানি করে।
পুলিশের উপস্থিতে নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে সেক্ষেত্রে পুলিশও নীরব থাকে বলে অভিযোগ করেন তিনি।সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, জমিজমা, ঘরবাড়ি, মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, দখল ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে ৬৫৫টি। ২২টি পরিবারকে জোড়পূর্বক উচ্ছেদ ও দেশ ত্যাগের হুমকি দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, শুধু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘু ব্যক্তি, পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৮ হাজার ২৫০টি।
সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ। এর মধ্যে যেসব জেলায় সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লংঘনের হচ্ছে, সেখানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের আরো দায়িত্বশীল হওয়া; প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত করা; সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় বিশেষ আইন প্রণয়ন করা; নারীদের উপর সহিংসতার ঘটনাগুলো দ্রুতবিচার আইনের আওতায় আনা এবং নির্বাচনের পূর্বাপর সময়ে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা প্রহণ করা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজল দেবনাথ, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেন দীপু, মহিলা ঐক্যপরিষদের সভাপতি জয়ন্তী রায় প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।