পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে যে ভাষায় সমালোচনা করেছেন তার জন্য আনন্দ প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতারা।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনার জন্য মিষ্টিও পাঠাতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, আমি মিষ্টি পাঠাব উনার (প্রধানমন্ত্রী) কাছে। আমার অনেক উপকার করেছেন তার জন্যে। ভোট অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন। গতকাল (শুক্রবার) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠাঁকুরগাঁওয়ে গিয়ে যে ভাষায় সমালোচনা করেছেন, তাতে ভোট আরও বাড়বে। বিএনপির সিনিয়র নেতারাও মহাসচিবের কথার সাথে সাথে ঠাট্টায় যোগ দেন। এজন্য মির্জা ফখরুলকে নিয়ে এখন তাদের নাকি ঈর্ষাও হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় বিএনপির কর্মকান্ড নিয়ে বলতে গিয়ে নাম ধরেই মির্জা ফখরুলের সমালোচনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনার বিষয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা ফখরুল ওই সমালোচনাকে তার জন্য ইতিবাচক হিসেবেই উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে ভাষায় কথা বলেছেন এতে আমার ভোট আরও তিনি বাড়িয়ে দিয়েছেন। এজন্য আমি উনার কাছে মিষ্টি পাঠাতে চাই। তার এ কথার পর বিএনপির সংবাদ সম্মেলন কিছু সময়ের জন্য অনানুষ্ঠানিক আড্ডার রূপ পায়। আলোচনায় যোগ দেন দলের স্থায়ী কমিটির নেতারাও। স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা যারা আছি, ঈর্ষান্বিত। এভাবে উনাকে স্পন্সর করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী! তিনি বলেন, শেরে বাংলা একসময় বলতেন, যদি হিন্দুরা তার সমালোচনা না করত, যুগান্তরে উনাকে গলাগালি না করত, সবাইকে তিনি জিজ্ঞাসা করতেন, আমার রাজনীতি ভুল হইতেছে কিনা, ওরা গাইলে (গালাগাল) না ক্যান? আমীর খসরু বলেন, উনি কিছু বললে তো প্রতিক্রিয়া দেবেন; গালি-গালাজের কোনো প্রতিক্রিয়া নাই। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।